কাবুলের দোরগোড়ায় ইতিমধ্যেই পৌঁছে গিয়েছে তালিবান। এর আগে হেরাত, মাজার-ই-শরিফ, গজনির মতো শহরের পতন হয়েছে তালিবানের সামনে। তালিবানি দখলে গিয়েছে কান্দাহারও। এই কান্দাহারেই নাকি ভারতীয় দূতাবাসে তালা লাগিয়ে দিয়েছে তালিবান। এদিকে তালিবানের দাবি নিরাপত্তার কারণেই নাকি কান্দাহারের দূতাবাসে তালা লাগিয়েছে তালিবানরা। হেরাতেও নাকি তালিবানরা তালা ঝুলিয়েছে ভারতীয় দূতাবাসে। তাদের দাবি, ভারতীয় কর্তারা এলে তাদেরকে নাকি সেই তালার চাবি দিয়ে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, আফগানিস্তান থেকে মার্কিন মুলুক সেনা সরিয়ে নেওয়ার পর থেকেই শক্তি বাড়াতে শুরু করেছিল তালিবান। একের পর এক এলাকা হাতছাড়া হচ্ছে আফগান সরকারের। দখল নেয় তালিবান। পরিস্থিতির উপর নজর রেখেছিল নয়াদিল্লি। আফগানিস্তানে সরকার প্রতিষ্ঠা হওয়ার পর থেকেই সেদেশের সঙ্গে বেশ ভাল দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে ভারতের। বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজে আফগান সরকারকে সাহায্য করেছে নয়াদিল্লি। সালমা বাঁধ নির্মাণ, সড়ক নির্মাণ থেকে শুরু করে আরও অনেক উন্নয়নমূলক প্রকল্পে ভারতকে পাশে পেয়েছে আফগানিস্তান। তবে কাবুল তালিবানদের দখলে চলে গেলে ভারত-আফগান সম্পর্ক পুরোপুরি বদলে যাবে।
এদিকে, এই অবস্থায় নিজের নাগরিকদের নিয়ে চিন্তা বেড়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের। আফগানিস্তান থেকে মার্কিন নাগরিকদের নিরাপদে বের করে আনার জন্য সেনাবাহিনীর তিন হাজার সদস্যকে সেদেশে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। একই কারণে ব্রিটেনের পক্ষ থেকেও আফগানিস্তানে প্রায় ৬০০ সেনা জওয়ান ও আধিকারিককে পাঠানো হচ্ছে। তাঁরা আফগানিস্তানে আটকে থাকা ব্রিটিশ নাগরিকদের উদ্ধার করে নিয়ে আসবেন। এই ব্রিটিশ ও মার্কিন নাগরিকদের অধিকাংশই কাবুলের দূতাবাসগুলিতে কর্মরত রয়েছেন।