ক্রমশ কোণঠাসা হয়ে পড়ছে আফগানিস্তান সরকার। একের পর শহর দখল করে নিচ্ছে তালিবান। সেই পরিস্থিতিতে দেশের মধ্যে লড়াই রুখতে তালিবানকে ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব দিল আফগানিস্তান সরকার। সূত্র উদ্ধৃত করে একথা জানিয়েছে একটি সংবাদসংস্থা।
ওই সংবাদসংস্থায় ওই সূত্র বলেছেন, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাতারের কাছে একটি প্রস্তাব জমা দিয়েছে কাবুল। দেশে হিংসায় ইতি টানতে তালিবানের সঙ্গে ক্ষমতা ভাগাভাগির বিকল্পের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ওই সূত্র কাতারে আফগান সরকারের মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করছেন বলে জানানো হয়েছে।
তারইমধ্যে মার্কিন সেনা চলে যাওয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে বৃহস্পতিবার কৌশলগত দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ প্রাদেশিক রাজধানী গজনি দখল করে নিয়েছে তালিবান। যা আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল থেকে মাত্র ১৫০ কিলোমিটার দূরে। আফগানিস্তানের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রকের তরফে সে কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। যা গুরুত্বপূর্ণ কাবুল-কান্দাহার হাইওয়ের কাছে অবস্থিত এবং রাজধানী কাবুল ও দক্ষিণাংশে তালিবানের শক্তঘাঁটির মধ্যে যোগাযোগের অন্যতম রাস্তা। খাতায়কলমে এখনও প্রত্যক্ষভাবে কাবুল বিপদের মুখে না পড়লেও গজনির ‘পতনে’ তালিবানের পায়ের জমি আরও শক্ত হয়েছে। যা প্রায় আফগানিস্তানের দুই-তৃতীয়াংশ নিজেদের কবজায় নিয়েছে। তার জেরে হাজার-হাজার মানুষ নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
এমনিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক গোয়েন্দা রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে ৩০ দিনের মধ্যে কাবুলের উপর আরও চাপ বাড়াবে তালিবান। সেই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে কয়েক মাসের মধ্যে পুরো আফগানিস্তান দখল করে ফেলবে। তার জেরে রাজধানী কাবুল এবং আরও কয়েকটি শহরকে রক্ষার জন্য আফগান সরকারকে পিছুও হটতে হতে পারে বলে রিপোর্টে জানানো হয়েছে।