দুর্গাপুজোর পর আবারও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। সেই পরিস্থিতিতে সংক্রমণে লাগাম টানতে তিনটি জেলায় কনটেনমেন্ট জোনের ঘোষণা করল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। উত্তর ২৪ পরগনা এবং হাওড়ায় মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। জলপাইগুড়িতে কয়েকটি এলাকায় কনটেনমেন্ট জোনের বিধিনিষেধ কার্যকর করেছে জেলা প্রশাসন।
হাওড়ার ১৪ টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। যে নিয়ম গত শনিবার (২৩ অক্টোবর) সন্ধ্যা ছ’টা থেকে কার্যকর করা হয়েছে।
উত্তর ২৪ পরগনা
রাজ্যের মধ্যে কলকাতার পার্শ্ববর্তী জেলা উত্তর ২৪ পরগনায় আপাতত সর্বাধিক মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন আছে। ৫১ টি জায়গাকে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে চিহ্নিত করেছে জেলা প্রশাসন।
জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়িতে আবার কনটেনমেন্ট জোন চিহ্নিত করা হয়েছে। সেই তালিকায় আছে ন’টি এলাকা। জেলা প্রশাসনের তরফে রবিবার (২৪ অক্টোবর) সেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়েছে।
এমনিতে সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, শেষ ২৪ ঘণ্টায় পশ্চিমবঙ্গে ৮০৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। পরীক্ষা কম হওয়ায় আক্রান্তের সংখ্যা কমলেও বেড়েছে দৈনিক সংক্রমণের হার। কলকাতায় সংক্রমিত হয়েছেন ২২৯ জন। উত্তর ২৪ পরগনায় সেই সংখ্যাটা ১৪২। অর্থাৎ বর্তমানে জেলাভিত্তিক সংক্রমণের শীর্ষে আছে কলকাতা। তবে সেখানে আপাতত কোনও কনটেনমেন্ট জোন বা মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোনের ঘোষণা করা হয়নি। সোমবার কলকাতা পুরনিগমের মুখ্য প্রশাসক ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘কলকাতায় বেশিরভাগ মানুষেরই টিকাকরণ সম্পূর্ণ হয়ে গিয়েছে। তাই সংক্রমণ বাড়লেও আতঙ্কের কিছু নেই। কনটেনমেন্ট জোন করছি না আমরা। সচেতনতা বাড়াতে প্রয়োজন মতো মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন ঘোষণা করা হবে।’ পরে কলকাতা পুরনিগমের এক শীর্ষ আধিকারিকও বলেছেন, ‘এই মুহূর্তে কলকাতায় আমরা কোনও কনটেনমেন্ট জোনের ঘোষণা করছি না। পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে সবথেকে বেশি করোনা টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে কলকাতায়। আমরা এই মুহূর্তে সচেতনতার উপর জোর দিচ্ছি।’