কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী তথা বিজেপি-র মণ্ডল সভানেত্রী মৌমিতা সিনহা তৃণমূল নেত্রী কল্পনা শিট সহ অন্যান্যদের দ্বারা প্রহৃত হয়ে মঙ্গলবার সন্ধেয় মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি হন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে বিষয়টি পোস্ট করে নিন্দা প্রকাশ করেছিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
বুধবার বিকেল নাগাদ তিনি পৌঁছে যান মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। চিকিৎসাধীন বিজেপি নেত্রী মৌমিতা সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে তাঁর স্বাস্থ্য সম্পর্কিত বিষয়ে খোঁজখবর নেন তিনি। তবে, তার আগে একাধিক ইস্যুতে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। এই ঘটনা প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে তিনি বলেন, কেশিয়াড়ি পঞ্চায়েত সমিতির বিরোধী দলনেত্রী মৌমিতা সিনহাকে অর্থ ও স্থায়ী সমিতির সভায় ডেকে তার উপর তৃণমূল নেত্রী কল্পনা শিটের নেতৃত্বে নিষ্ঠুর ভাবে ক্ষ্যাপা কুকুরের মত ঝাঁপিয়ে পড়া হয়েছে। একজন মহিলার উপরে সরকারি অফিসে যে ধরণের অত্যাচার হয়েছে, এর থেকে বোঝা যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে প্রশাসন, দল, গুন্ডা, হার্মাদ সবাইকে একাকার করে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কেশিয়াড়ির বিডিও’র প্রথম গ্রেপ্তার চাইবো, কারণ তিনি না ডাকলে মৌমিতা সিনহা ওখানে যেতেন না।ডিজিপি’কে মেলে অভিযোগ পাঠানো হয়েছে। তবে কি করলে কেশিয়াড়ির বিডিওকে শিক্ষা দেওয়া যায়, আর মূল অভিযুক্ত কল্পনা শিট যাতে জেলে যায়, তার ব্যবস্থা বিজেপির পক্ষ থেকে করা হবে। একই সঙ্গে সরকারি স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও কটাক্ষ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, এসব জায়গায় থাকলে সুস্থ লোকও মারা যাবেন।
রাজভবনের সামনে তৃণমূলের ধর্ণা প্রসঙ্গে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, প্যাঁচে পড়েছে। আজ কলকাতা হাইকোর্ট বলেছে, তৃণমূল এবং ভাইপো কেন বসেছিল ১৪৪ ধারা ভেঙে তার রিপোর্ট দিন। এবার বিনীত গোয়েল রিপোর্ট দিক। চাকরি বাঁচাবে? না রাজধর্ম পালন করবে বুঝুক এবার।