‘ভয়ঙ্কর অবস্থা’! রাজ্যজুড়ে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের প্রতিবাদে এবার ধরনায় বসার হুঁশিয়ারি দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ, ‘রাজ্য সরকার দেউলিয়া হয়ে দিয়েছে। তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলিতে কয়লা জোগান দিতে পারছে না’!
অস্বস্তিকর গরমে তখন নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। মাঝে-মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে ছিটেফোঁটা। কিন্তু বৃষ্টি থামলেই ফের গুমোট আবহাওয়া। সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লোডশেডিং! জুন মাসে আচমকাই কলকাতায় বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে হাজির হন শুভেন্দু অধিকারী। সঙ্গে অগ্নিমিত্রা পাল-সহ বিজেপি বিধায়করা। রীতিমতো তথ্য-পরিসংখ্য়ান হাতে নিয়ে বন্টন বিভাগের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্য়ের বিরোধী দলনেতা।
এদিন শুভেন্দু বলেন, ‘কয়লা কিনে নিতে পারছে না টাকা নেই বলে, বারশো মেগাওয়াটের ঘাটতি আজকে দাঁড়িয়েছে আড়াই হাজার মেগাওয়াট। ভয়ঙ্কর অবস্থা! উত্তরবঙ্গে ধূপগুড়িতে প্রচারে গিয়ে ল্যাম্পপোস্ট বিদ্যুৎমন্ত্রী, তিনি বলছেন কয়লা ঘাটতি কোনও ইস্যু নয়। পুজোর প্রস্তুতি চলছে’। তাঁর দাবি, ‘রাত্রি ১২ থেকে ২ পর্যন্ত, কোথায় প্রস্তুতি? ট্রান্সফর্মার সারাই হচ্ছে, আর তার সারাই হচ্ছে! রাত্রিবেলা ১০ থেকে ১২টা, ১২টা থেকে ২টো, কে রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করে’?
বিরোধী দলনেতার হুঁশিয়ারি, আগামিকাল, রবিবার মধ্যে যদি পরিস্থিতির উন্নতি না হয়, তাহলে ৩ তারিখে গণতান্ত্রিকভাবে আমার বিক্ষোভ, অবস্থা ধরনা, আমার যেটুকু এক্রিয়ার রয়েছে, বিরোধী দলনেতা হিসেবে পশ্চিমবঙ্গের লোক কষ্ট পেলে আওয়াজ তোলা, আমি তো কিছু করতে পারব না সমাধান। সে দায়িত্ব আমার নেই। কিন্তু আমার আমি আওয়াজ তুলব প্রশাসনের সামনে’।
কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের? দলের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, ‘শুভেন্দুবাবু নিজের কথা জালেই নিজে ফেঁসে যাচ্ছেন। যদি তর্কের খাতির ধরেও নিই, রাজ্য সরকার দেউলিয়া, তাহলে এই রাজ্য সরকারকে ভাতে মারা ডাক কে দিয়েছিলেন? শুভেন্দু অধিকারী। ১ লক্ষ ১৭ হাজার কোটি টাকা কেন বাকি রেখেছে? যদি অবস্থানে বসতে চান, তাহলে যে কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা না নিয়ে যান, তাহলে বুঝতে পারবেন, সাধারণ মানুষ জবাবগুলি সুদে আসলে নিয়ে নেবে। সাবধানে থাকতে হবে শুভেন্দু অধিকারীকে’।