‘গোটাটাই প্রমাণিত চুরি’। মুখ্যমন্ত্রীর গ্রিভান্স সেলকে এবার নিশানা করলেন শুভেন্দু অধিকারী। বললেন, ‘রাজ্যপালকে মেল করে অভিযোগ জানিয়েছি’।
পঞ্চায়েত ভোটের আগেই চালু হয় রাজ্য সরকারের নয়া কর্মসূচি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’। নবান্ন সভাঘরে এই কর্মসূচির সূচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই। তিনি জানান, ‘ফোন করে যার যা অসুবিধা, সেটা আমাকে জানাতে পারবেন। নম্বরটা হল, ৯১৩৭০৯১৩৭০। সোমবার থেকে শনিবার প্রতিদিন সকাল দশটা থেকে সন্ধে ৬টা পর্যন্ত এই লাইন খোলা থাকবে’।
কীভাবে চালু হল এই কর্মসূচি? কাদের বরাত দেওয়া হল? ‘দুর্নীতি’র বোমা ফাটালেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, ‘অনলাইন টেন্ডার হয়, প্রসেস শুরুতে খুব স্বচ্ছ ছিল। টেকনিক্যাল ও ফিনান্সিয়াল বিট হওয়ার পরে, নিয়ম অনুযায়ী L 1 একটি দিল্লির কোম্পানির হয়। তথ্য প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকরা, ও ওয়েবেলের লোকেরা, তাদের সঙ্গে ভিডিয়ো কনফারেন্স করে ফেলে এবং ওয়ার্ক অর্ডার দেওয়ার প্রস্তুতিও নিয়ে ফেলে’।
তাহলে? রাজ্যের বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, ‘মূলত আই-প্যাককে বেনামে দেওয়ার ব্যবস্থাটা ছিল। তথ্য-প্রযুক্তি দফতর ও ওয়েবেলকে বলা হয়, আপনারা টেন্ডারটা করতে পারবেন না। এটা হোম পাবে। যার সচিব হচ্ছেন অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মিস্টার গোপালিকা এবং এই দফতরের মন্ত্রী হচ্ছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী শ্রীমতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তথ্য-প্রযুক্তি দফতরের আধিকারিকরা, ও ওয়েবেল এমডি-রা রাজি হয়নি। মুখ্য়মন্ত্রীর দফতর, গোপালিকাজীর নেতৃত্বে আমরা ধারনা, মুখ্যমন্ত্রী অনুমোদিত ফাইল, এত বড় সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা গোপালিকজীর নেই, তিনি প্রস্তাব করে থাকতে পারেন। ওয়েবেলের থেকে স্বরাষ্ট্র দফতর নিয়ে নেয়’।
তারপর? শুভেন্দুর দাবি, ‘WTL-কে দিয়ে দেয়। বলা হয়, আগে RFT বাতিল করতে হবে। এমনভাবে RFT বানাও যাতে দিল্লির কোম্পানিটা ঢুকে না পারে এবং আইপ্যাকের পছন্দের কোম্পানি অংশ নিতে পারে এবং সাপোর্টিং ডকুমেন্টও দিয়ে দিতে পারে। এই কাজটি IAS বিভু গোয়েল, যিনি WPL-র এমডি, তাকে দিয়ে করান গোপালিকাজী। তাকে কারা কারা নির্দেশ দিয়েছেন, আমি জানি না। তবে, নিশ্চিতভাবে মুখ্যমন্ত্রী দফতর নির্দেশিতে এই সিদ্ধান্ত’।
এদিকে গতকাল, বৃহস্পতিবার RTI করার জন্য মুদিয়ালীতে PSC অফিসে যাওয়ার কথা জানিয়েছিলেন শুভেন্দু। কীসের RTI? বিরোধী দলনেতার অভিযোগ, দুর্নীতি হয়েছে WBCS পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগেও! সেই সংক্রান্ত তথ্য জানতে চান তিনি। ‘গেট বন্ধ কেন’? এদিন PSC অফিসে পৌঁছেই মেজাজ হারান শুভেন্দু। কর্তব্যরত পুলিসকর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। জানতে চান, ‘মমতা মাইনে দেয়? ডিএ পান না, তাও বিজেপিকে আটকাবেন কেন’?