আজ ধর্মতলার প্রতিবাদ সভা থেকে বদলের সঙ্গে বদলাও চাই বলে সরব হয়েছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। একই সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দ্যেশ্যে তাঁর চ্যালেঞ্জ, সাহস থাকলে পাথ, বালু, কেষ্টকে দল থেকে সাসপেন্ড করে দেখান। তাঁর কটাক্ষ, ভাইপোর নাম বলে দেওয়া ভয়ে দুর্গাস্তুতি করছেন নেত্রী।
বুধবার রাজ্য বিজেপির প্রতিবাদ সভা থেকে কেন্দ্রীয়
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের, হুঙ্কার আমাদের দলের কার্যকর্তারা ভাইয়ের থেকেও বেশি আপন। রাজনৈতিক হিংসায় বাংলায় ২১২ জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তার বদলা হবে। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে মানুষ এর বদলা নেবে। দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, তৃণমূলের দোর্দন্ড্য প্রতাপ নেতা অনুব্রত মণ্ডলকে দল থেকে বহিষ্কার করার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন অমিত শাহ।
অমিত শাহ বলেন, গুজরাট থেকে আমি এসেছি, কিন্তু কোনো নেতার বাড়িতে এই রকম নোটের পাহাড় আমি দেখিনি। সাহস থাকলে পার্থ অনুব্রত জ্যোতিপ্রিয়কে সাসপেন্ড করে দেখান। আসলে ভাইপোর নাম যাতে কেউ না বলে দেয় এজন্য দুর্গা নাম জপ করছেন বলেও কটাক্ষ করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। সংসদের পবিত্রতা তৃণমূল নষ্ট করেছে। তাঁর কথায়, “উপহার পয়সা নিয়ে প্রশ্ন তোলা দল বাংলা বা ভারতের কল্যাণ কী করতে পারে?”
শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে সাসপেন্ড করার বিরোধিতায় সরব হয়ে তিনি বলেন, দিদি, কান খুলে শুনুন। শুভেন্দু অধিকারীকে বিধানসভা থেকে বার করতে পারেন, কিন্তু বাংলার মানুষকে চুপ করাতে পারবেন না। বাংলার মানুষ বলছে দিদি আপনার সময় ফুরিয়ে এসেছে।
অমিত শাহের দাবি, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ আসন নিয়ে ক্ষমতায় আসবে বিজেপি। ভোট বাক্সে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে বদলার কথা বলেছেন অমিত শাহ। বাংলার মানুষের কাছে তাঁর আর্জি, বিধানসভার আগে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে আরও বেশি আসনে বিজেপিকে জেতান। তিনি বলেন, এত আসনে জেতান যে, শপথের পর নরেন্দ্র মোদী যেনো বলেন, বাংলার জন্যই প্রধানমন্ত্রী হতে পেরেছি।
আজ খুব দীর্ঘকায় বক্তৃতা ছিল না শাহের। তবে বক্তব্যে তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছেন অমিত শাহ। তোষণ দুর্নীতি, অনুপ্রবেশ ও রাজনৈতিক হিংসার মত বিষয়গুলোকে সামনে রেখে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে তোপ দেখেছেন তিনি। তাঁর কথায়, যে বাংলায় এক সময় সকালে রবীন্দ্রনাথের গান শোনা যেত এখন সেখানে বোমার শব্দ শোনা যায়।
কেন্দ্রের বঞ্চনার অভিযোগ অস্বীকার করে অমিত শাহের বক্তব্য, দেশের ৭ কোটি গরিবের জীবন পাল্টে দিয়েছে নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী বাংলার মানুষের জন্য কোটি কোটি টাকা পাঠালেও তৃণমূল মানুষের কাছে পৌঁছাতে দেয় না। বক্তব্যের শেষে নাগরিকত্বের প্রসঙ্গ উত্তাপন করে অমিত শাহ বলেন, তারা সিএএ লাগু করবেনই।