Sushmita Debnath: ‘দিদির বিচার চাই’, ‘এশিয়া প্যাসিফিক মেডেল’ উৎসর্গ করলেন অ্যাথলিট সুস্মিতা দেবনাথ…

বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় পাওয়া নিজের মেডেল আরজিকরের নির্যাতিতাকে উৎসর্গ করে তার ছবিতে পরিয়ে দিলেন বিশিষ্ট অ্যাথলিট (যোগাসন) সুস্মিতা দেবনাথ। বুধবার বিকালে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার নাটাগড়ে নির্যাতিতার পরিবারের সাথে দেখা করতে আসেন সুস্মিতা দেবনাথ। এরপর তার বাড়িতে প্রবেশ করে নির্যাতিতার প্রতিকৃতিতে সেই মেডেল পরিয়ে দেন সুস্মিতা। গত আগস্টে শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠিত প্রাপ্ত ‘এশিয়া প্যাসিফিক মেডেল’ উৎসর্গ করেন সুস্মিতা। 

এদিন দুটো মেডেল পরিয়ে দেন সুস্মিতা। পরে একটি মেডেল নির্যাতিতার গলায় থাকলেও, আরেকটি নির্যাতিতার বাবা সুস্মিতার গলায় পরিয়ে দেন। এই প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন ‘প্রতিবাদস্বরূপ সুস্মিতা যে কাজটি করেছে গোটা পৃথিবীর লোক জানুক যে ওর মনে আজ কত ব্যথা জমে রয়েছে।’ নির্যাতিতার বাবা এও জানান ‘আমাদেরকে আরজিকরে যেতেই হবে। তাছাড়া কি করব? ছাত্রদের পাশে দাঁড়াতেই আমরা যাচ্ছি।’ তাঁর অভিমত ‘তদন্ত যেভাবে ধীরগতিতে চলছে তা আমাদের সহ্য হচ্ছে না। আমাদের আজকে অনেক প্রশ্ন রয়েছে, সেটা পুলিশকে জিজ্ঞাসা করব।’ 

অন্যদিকে সুস্মিতা জানান ‘নির্যাতিতার পরিবার যা হারিয়েছেন সেটা কখনোই ফেরানো সম্ভব নয়। আমি একজন খেলোয়ার আমার কাছে আমার পদকটাই (মেডেল) সবকিছু। তাই আমার দিদিকে আমার এই পদকটা উৎসর্গ করলাম যাতে বিচার হয়।  আমার কাছে যত পদক আছে, প্রয়োজনে সব গঙ্গার জলে ভাসাতে পারি। কিন্তু আমার দিদির বিচার চাই। আমার দিদি একজন বড় বিপ্লবী ছিলেন এবং সেই কারণে সে প্রাণ দিয়ে গোটা রাষ্ট্রের চেতনাকে জাগ্রত করলো। এর জন্য আমার দিদিকে স্যালুট জানাই। আমরা ন্যয় বিচার পেয়েই ছাড়বো।’ 

সুস্মিতা জানান ‘আমি দুটো মেডেল উৎসর্গ করে দিয়েছিলাম। এর মধ্যে একটা দিদির গলায় পড়ানো আছে, দ্বিতীয়টা অন্যটা আমাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’ অন্যদিকে নির্যাতিতার মা জানান ‘ডাক্তারি পড়ুয়ারা এতো কষ্ট করছে। তাদের নিজেদের সন্তান মনে করে আমরা তাদের পাশে দাঁড়াবো। আমাদের যত দুর দরকার যাব কিন্তু বিচার আমাদের পেতেই হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.