প্রশাসনিক চাপের সামনে আত্মসমর্পণ করেছেন অর্জুন সিং। তৃণমূলে যোগদান করতে বাধ্য করা হয়েছে তাঁকে। রবিবার বিকেলে এক সাংবাদিক বৈঠকে এমনই বললেন বিজেপি সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। অর্জুনকে তাঁর প্রশ্ন, পাটশিল্প নিয়ে এত উচাটন হলে এতদিন চুপ ছিলেন কেন?
রবিবার বিকেলে কলকাতার ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দফতরে দলবদল করেন অর্জুন। এর পর সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপিতে যোগদানকে ‘ভুল’ বলে উল্লেখ করেন তিনি। সঙ্গে জানান, বিজেপি ঠান্ডা ঘরে বসে রাজনীতি করে। ফেসবুকে রাজনীতি করে মানুষের কাছে পৌঁছনো সম্ভব নয়। আমরা সংগঠন করা লোক। আমার সমস্যা হচ্ছিল।
এর পরই দলের রাজ্য সদর দফতরে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন দিলীপ ঘোষ। সেখানে তিনি দাবি করেন, প্রশাসনিক চাপে দলবদল করতে বাধ্য হয়েছেন অর্জুন। দিলীপবাবু বলেন, ‘এর আগেও কয়েকজন বিধায়ক প্রশাসনিক চাপের সামনে নতিস্বীকার করে চলে গিয়েছিলেন। প্রশাসনিক চাপ তাঁরা সহ্য করতে পারেননি। যারা ক্ষমতার সঙ্গে থেকেছেন, পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে রাজনীতি করেছেন, তাদের টিকে থাকা খুব মুশকিল সেটা আমরা দেখছি। সেজন্য ২০০-র বেশি কর্মীকে হারাতে হয়েছে আমাদের।’
দিলীপবাবু বলেন, ‘অর্জুন সিং আমাদের পার্টিতে আসার পর থেকে পরপর তাঁর ওপর অত্যাচার হয়েছে। কেস হয়েছে। এর আগে কয়েক জন বিধায়কের ব্যবসা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। তারা সঙ্গে সঙ্গে চলে গিয়েছেন। অর্জুন সিংয়েরও একাধিক ব্যবসা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। কেসে জর্জরিত। প্রশাসনিক চাপ সহ্য করতে পারছিলেন না। তাই আত্মসমর্পণ করেছেন। একেবারে বাধ্য হয়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন তিনি।’
দিলীপবাবু বলেন, ‘তৃণমূলে গেলে পাট শিল্প বাঁচবে? তৃণমূল বাঁচবে কি না ঠিক নেই। তারা পাট শিল্প কী করে বাঁচাবে? আর তাই যদি বাঁচাতে পারবেন তাহলে তৃণমূল ছেড়েছিলেন কেন? কিছু বাহানা দিতে হবে তাই এসব বলছেন।’