দেশ স্বাধীন হয়েছে ৭৫ বছর আগে। এত বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে দেশের। তবে দুর্ভাগ্যজনক ভাবে আজও জাতিভেদ রয়ে গিয়েছে দেশে। জাতিভেদের কারণে হত্যা সংক্রান্ত একটি মামলাতে সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, ‘স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও নির্মূল সহয়নি জাতিভেদ।’ সুপ্রিম কোর্ট বলে, ‘জাতিভেদের কারণে যেসব হিংসা বা অপরাধমূলক ঘটনা ঘটে, তার থেকেই প্রমাণিত যে স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরও দেশ থেকে জাতিভেদের বিষয়টি নির্মূল করা সম্ভব হয়নি।’ সুপ্রিম কোর্ট আরও বলে, ‘জাতিভেদের কারণে হওয়া হিংসার প্রতিবাদে সরব হওয়ার সময় এসেছে সুশীল সমাজের।
১৯৯১ সালে উত্ত্রপ্রদেশে ঘটে যাওয়া জাতিভএদ সংক্রান্ত মামলার রায়দান করার সময় এই পর্যবেক্ষণগুলো উপস্থাপন করে শীর্ষ আদালত। প্রিম কোর্টের বিচারপতি এল নাগেশ্বর রাওয়ের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি চলছিল। ঘটনায় জাতিভেদের কারণে একজন মহিলা সহ তিন ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছিল। জাত-ভিত্তিক সামাজিক নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে সেই সময় দুই যুবক এবং একজন মহিলাকে প্রায় ১২ ঘণ্টা ধরে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। মামলায় ২৩ অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করে সুপ্রিম কোর্ট। পরিচয় নিয়ে সংশয় থাকায় তিনজনকে বেকসুর খালাস দেয় সুপ্রিম কোর্ট।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রায় দিতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয় যাতে জাতিভেদের কারণে হত্যাকাণ্ড রুখতে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হয়। অবিলম্বে এই সব পদক্ষেপ নিয়ে যাবতীয় নির্দেশ মানা উচিত বলেও উল্লেখ করা হয় রায়ে। সুপ্রিম বক্তব্য, দেশে ধর্মান্ধতা এখনও রয়েছে। সংবিধানে উল্লেখিত সমান অধিকারের বিষয়টি খর্ব হয় এই ধর্মান্ধতার কারণে।
এদিকে শীর্ষ আদালত আরও নির্দেশ দেয় যাতে এই ধরনের মামলার ক্ষেত্রে সাক্ষীদের নিরাপত্তায় কোনও ফাঁক না থাকে। বিশেষ করে যেসব মামলায় ক্ষমতাশীল ব্যক্তিদের নাম জড়িয়ে, সেই ক্ষেত্রে যাতে অর্থ বা বল, কোনওটাই প্রয়োগ না করা হয়, তা নজরে রাখতে বলা হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।