মঙ্গলবার শীর্ষ আদালত ওয়াকফ (সংশোধনী) আইন, ২০২৫-এর সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের শুনানিপর্বে কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ অন্তর্বর্তী নির্দেশ’ দিতে পারে সুপ্রিম কোর্ট। সংবাদ সংস্থা পিটিআই সোমবার এ কথা জানিয়েছে।
ওয়াকফ সংশোধনী আইনে যেমন ওয়াকফ বোর্ডে হিন্দুদের রাখার বন্দোবস্ত করা হয়েছে, তেমন হিন্দুদের মন্দির পরিচালন সংস্থায় কি মুসলিমদের রাখা হবে? এই প্রশ্ন তুলে গত ১৬ এপ্রিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চ ওয়াকফ সংশোধনী আইনের অন্তত তিনটি ক্ষেত্রে আপাতত স্থগিতাদেশ জারি করার ইঙ্গিত দিয়েছিল— প্রথমত, যে সব সম্পত্তি আদালত ওয়াকফ সম্পত্তি বলে ঘোষণা করেছে, সেগুলি আর ওয়াকফ সম্পত্তির তালিকা থেকে বাদ দেওয়া যাবে না। দ্বিতীয়ত, যে সব ক্ষেত্রে ওয়াকফ সম্পত্তি নিয়ে বিবাদ রয়েছে, সেখানে জেলাশাসক নিজের প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে পারেন। তবে তাঁর সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে না। তৃতীয়ত, ওয়াকফ বোর্ড ও ওয়াকফ পরিষদে পদাধিকার বলে কোনও সদস্যকে নিয়োগ করা যাবে। কিন্তু অন্য সদস্যদের মুসলিম সমাজের প্রতিনিধি হতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সরকার সুপ্রিম কোর্টের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেছিল। অন্যদিকে, আবেদনকারী পক্ষের যুক্তি ছিল, ওয়াকফ বোর্ড ও সম্পত্তিতে অ-মুসলিমদের ঢোকানোর ব্যবস্থা সংবিধানের ২৬তম অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। এই আবহে নতুন প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি অগাস্টিন জর্জ মসিহের বেঞ্চ নতুন কী নির্দেশ দিতে পারে, তা নিয়ে জল্পনা রয়েছে। মোদী সরকারের ওয়াকফ সংশোধনী আইনের সাংবিধানিক বৈধতাকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে অন্তত ৭২টি মামলা হয়েছিল। বিভিন্ন মুসলিম সংগঠনের পাশাপাশি বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিরোধী দলের সাংসদ, নেতারা সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন। বেশ কিছু বিজেপিশাসিত রাজ্য আবার সংশোধিত ওয়াকফ আইনের পক্ষে সুপ্রিম কোর্টে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে শুনানিতে অংশগ্রহণ করেছে।