ভারতের অ্যাটর্নি জেনারেল সোমবার বলেন, সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত মৌলিক দায়িত্বগুলি কার্যকর করার জন্য সুপ্রিম কোর্ট সংসদকে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দিতে পারে না। সংবিধানের ৫১এ ধারার অধীনে থাকা মৌলিক দায়িত্ব পালন নিশ্চিত করার জন্য একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানিতে আদালতে হাজির হয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল কে বেণুগোপাল বলেন, ‘এই আবেদনের দাবি কীভাবে মেনে নেওয়া হতে পারে, তা আমি দেখতে পাচ্ছি না। এই আদালত সংসদকে আইন প্রণয়নের নির্দেশ দেবে না… আবেদনে কী দাবি জানানো হয়েছে তা দেখুন। আইন প্রণয়নের জন্য আইনের নির্দেশনা প্রয়োজন। এই বিষয়ে (আইন কার্যকর করার জন্য) আইন প্রণয়নের কোনও প্রয়োজন নেই।’
উল্লেখ্য, আদালতে অ্যাডভোকেট দুর্গা দত্তের দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলছিল। মামলাকারী মৌলিক দায়িত্বের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছেন এবং শীর্ষ আদালতের ২০০৩ সালের একটি সিদ্ধান্তের উল্লেখ করেছেন, যেখানে একটি আদেশ দেওয়া হয়েছিল যাতে কেন্দ্রকে মৌলিক দায়িত্ব প্রয়োগের জন্য আইন তৈরি করার বিষয়ে বিবেচনা করার জন্য বলা হয়েছিল।
আবেদনকারী নিজের আবেদনে বলছেন, ‘ভারতের সার্বভৌমত্ব, একতা ও অখণ্ডতাকে অক্ষত রাখা ও রক্ষা করার জন্য ভারতের প্রত্যেক নাগরিককে তাদের দায়িত্ব পালনে উদ্বুদ্ধ করার সময় এসেছে; দেশকে রক্ষা করা এবং জাতীয় সেবা প্রদান করার জন্য মানুষকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আমাদের যৌগিক সংস্কৃতির সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের মূল্যায়ন ও তা সংরক্ষণ করতে এবং বন, হ্রদ, নদী এবং বন্যপ্রাণী সহ প্রাকৃতিক পরিবেশ রক্ষা ও উন্নত করতেও নাগরিকদের উদ্বুদ্ধ করতে হবে। দেশের জাতীয়তা ও অখণ্ডতা রক্ষা করা এদেশের জনগণের কর্তব্য।’ এই মৌলিক কর্তব্যগুলি যাতে জনগণরা মানে, তার জন্য সরকারকে আইন তৈরির নির্দেশ দিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হন আবেদনকারী।
এর প্রেক্ষিতে শীর্ষ আদালত একটি নোটিশ ইস্য করে। আর শুনানি চলাকালীন অ্যাডভোকেট জেনারেলকে প্রশ্ন করেন, ‘সরকার কোনও পদক্ষেপ করার প্রস্তাব করেছে কি না তা আমাদের জানাতে পারেন আপনি। আইনের শীর্ষ কর্মকর্তা হিসেবে, আমরা আপনার কাছ থেকে শুনতে চেয়েছিলাম কী ঘটছে।’ এর জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘৫১এ অনুচ্ছেদ যাতে শেখানো হয়, তার জন্য স্কুলের পাঠ্যক্রমে এই পুরো অনুচ্ছেদ রয়েছে। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে নেতৃবৃন্দ এই দিকটি নিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন এবং এক বছরের সচেতনতামূলক অভিযান শুরু করা হয়েছে।’