সন্দেশখালিতে জোর করে জমি দখল, মহিলাদের উপর অত্যাচার এবং জুলুমবাজির বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালতের এই রায়কে কটাক্ষ করেছেন পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তাঁর দাবি, মানুষ ট্রাফিক পুলিশকে যেমন মানে না, তেমনি সিবিআইকেও মানে না। কিন্তু তাঁর এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর কথায়,
পুরমন্ত্রী এই মন্তব্য করে আসলে সেম সাইড গোল দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার সন্দেশখালি কান্ডে সিবিআই তদন্ত নিয়ে পুরমন্ত্রীকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, এখন আর
সিবিআই- এর কোনো অস্তিত্ব নেই, কারণ ওই জুজুর ভয় একবার হয়, দুবার হয়, তিনবার হয়। বিজেপিকে নিশানা করে ফিরহাদ হাকিম বলেন, এখন তো
সিবিআই’কে যা তৈরি করে দিয়েছে বিজেপি, তাতে ট্রাফিক পুলিশকে যেমন মানুষ আর মানে না, সিবিআইকেও আর মানে না। মন্ত্রীর এই মন্তব্যকেই সেম সাইড বলে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, “বিনাশকালে বিপরীত বুদ্ধি হয়েছে ফিরহাদ হাকিমের। রাজ্যের মন্ত্রী বলছেন, ট্রাফিক পুলিশকে কেউ মানে না। বিপদের সময় মানুষ সেম সাইড গোল করে ফেলে। “পুলিশের নিরপেক্ষতা নিয়েও ফের নিশানা করেছেন
সুকান্তবাবু। তিনি বলেন, যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক নিরপেক্ষভাবে কাজ করেন তাদের মানুষ মানে। আর কেউ কেউ আছেন যারা তৃণমূলের দালালি করেন।”
এর আগে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার পরই প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার জানিয়েছিলেন, সন্দেশখালির ঘটনায় আদালতের রায় আরো একবার প্রমাণ করে দিল যে তৃণমূল সরকার আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় মহিলাদের ওপর যে অত্যাচার হয়েছিল তার প্রাথমিক কোনো প্রমাণ তদন্তে উঠে এসেছে। সেই কারণে আদালত ঠিক করল এখানে সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। রাজ্য পুলিশকে দিয়ে হবে না, কারণ রাজ্য পুলিশ শুধু শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা করছে।
বুধবার সন্দেশখালির ঘটনার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই তদন্তে এলাকা ঘুরে জমি জবর দখল ও অন্যান্য অভিযোগ নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করে আদালতে জমা দেওয়ার কথা বলে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে একটি ই- মেইল তৈরি করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে এলাকার মানুষ ওই ই- মেইলে তাদের অভিযোগ জানাতে পারেন। এছাড়া আদালত জানিয়েছে, তদন্তের প্রয়োজনে যে কোনো সরকারি আধিকারিকে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারে।