দলের আক্রান্ত কর্মীকে দেখতে বসিরহাট হাসপাতালে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। সেখান থেকে বেরিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে দেশের নাম্বার ওয়ান চোর বলে আখ্যা দেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। একই সঙ্গে কটাক্ষ করে দাবি করেন বেকার ভাইপোকে দাঁড় করাতেই বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন মমতা।
হিঙ্গলগঞ্জের কালীতলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয় মন্ডলকে দেখতে বসিরহাট সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে যান সুকান্ত মজুমদার। ভোট পরবর্তী হিংসার শিকার তিনি। হাসপাতালে গিয়ে তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন সুকান্ত। পরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সঞ্জয় মন্ডলের উপর আক্রমণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজার দাবি করেন তিনি।
একই সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে যেমন দেশের নাম্বার ওয়ান চোর বলে আক্রমণ শানান, তেমনি দাবি বেকার ভাইপোকে দাঁড় করানোর তাগিদেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
তিনি বলেন, “গোটা ভারতে চুরিতে যদি কেউ নোবেল পেতে পারে তাহলে সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যত রকম চুরি- রণে বনে জলে জঙ্গলে, আকাশে চন্দ্রযান যাচ্ছে, সুযোগ পেলে সেটাও চুরি করে নিতেন মমতা। চান্স পাননি তাই। ”
এদিকে শনিবার বেঙ্গালুরুতে বিরোধীদের বৈঠকে যোগ দিতে গিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতার এই বেঙ্গালুরু সফর সম্পর্কেও কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত। তিনি বলেন, উনি বেঙ্গালুরুতে গিয়েছেন, যেতেই পারেন; ওখানে গিয়ে দেখে আসুন কর্নাটকে বিভিন্ন জায়গায় পশ্চিমবঙ্গ থেকে কতজন পরিযায়ী শ্রমিক কাজ করছেন। একযোগে সোনিয়া গান্ধী ও মমতাকে কটাক্ষ করে সুকান্ত বলেন, সোনিয়া গান্ধীর দায়িত্ব নিজের ছেলেকে দাঁড় করানো। আবার মুখ্যমন্ত্রীর চিন্তা হচ্ছে তাঁর বেকার ভাইপোকে কীভাবে দাঁড় করাবেন। একজনের বেকার ছেলে, আর একজনের বেকার ভাইপো।
লোকসভা ভোটে বিরোধী জোট গঠনের লক্ষ্যে বেঙ্গালুরুতে বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বিরোধীরা। শনিবার সেখানে পৌঁছন মমতা ও অভিষেক। সেখানে উপস্থিত রয়েছেন বিরোধীদলের বহু নেতৃত্ব।