নিট দুর্নীতি নিয়ে দেশ তোলপাড় হয়েছে। সংসদে বিরোধীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই নিট নেয় ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ। ফলে নিট কাণ্ডের প্রসঙ্গ উত্তাপন করে
এনটিএ’তে কতজন কর্মী রয়েছেন- সহ একাধিক বিষয় জানতে চেয়ে প্রশ্ন করেছিল ডিএমকে সাংসদ কানিমোজি করুণানিধি। আজ সংসদে তার উত্তর দিয়েছেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার।
নিটের মতো পরীক্ষা যে সংস্থা নেয় সেই এনটিএ- এর কী পরিস্থিতি? কতজন লোক নিয়ে এত বড় পরীক্ষাগুলি নেওয়া হয়? কি ভাবে কাজ চালায় এই সংস্থা? তা সংসদে বিরোধীরা জানতে চান।
ডিএমকে সাংসদের প্রশ্ন ছিল ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি বা এনটিএ’তে কতজন স্থায়ী কর্মী রয়েছেন? এনটিএ’তে ডেপুটেশনে এবং চুক্তিভিত্তিক কর্মী কতজন রয়েছেন?
এনটিএ কোন কাজগুলি আউটসোর্স করে ? কাদের সেই কাজ দেওয়া হয়? সেই সংস্থাগুলির বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছিলেন সাংসদ।
এর উত্তর দিতে গিয়ে কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর সুকান্ত মজুমদার জানান, সেন্ট্রাল স্টাফ স্কিমের অধীনে কেন্দ্রীয় সরকার এনটিএ’র ডিজিকে নিয়োগ করে। এনটিএ’তে ডেপুটেশনে এখন কাজ করছেন ২২ জন। এখন এই সংস্থায় চুক্তি ভিত্তিক কর্মী রয়েছেন ৩৯ জন। আউটসোর্সের হিসাব ধরলে সেভাবে কর্মরত ১৩২ জন।
এনটিএ পরীক্ষার গুরুত্ব বুঝে একাধিক পদক্ষেপ নেয় মসৃণ ভাবে কাজ চালানোর জন্য। যারা বায়োমেট্রিক নিতে পারে, তল্লাশি করতে পারে, সিসিটিভি নিয়ে নজরদারি করতে পারে, যে কোনো রকম প্রতারণা এড়াতে এআই ব্যবহার করা হয়। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, “এটা উল্লেখ করা প্রয়োজন, পরীক্ষার প্রশ্নপত্র তৈরির মতো বিষয় সহ সমস্ত আভ্যন্তরীণ কাজ আউটসোর্স করা হয় না।”
নিট নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠেছে। প্রশ্নপত্র ফাঁসের মতো গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। টাকার বিনিময়ে প্রশ্ন পত্র বিক্রি করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তার জন্য সিবিআই তদন্ত শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই একাধিক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের নম্বর নিয়ে প্রশ্ন ছিল তারা নতুন করে পরীক্ষা দিয়েছেন। এই বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টেরও একাধিক পর্যবেক্ষণ রয়েছে।