প্রবল বৃষ্টির কারণে ধসে উত্তরবঙ্গে ব্যাপক বিপর্যয় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। যা নিয়ে গোটা রাজ্য উদ্বিগ্ন। উত্তরবঙ্গে ছুটে যাচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-নেত্রীরা। বুধবার উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত এলাকায় গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। সেখানে বহু সাধারণ মানুষের ঘর ভেঙ্গে ভেসে চলে গেছে। অসহায় এই মানুষদের মাথার উপর ছাদ ফেরাতে রাজ্য সরকারের কাছে ইন্সন্ট্যান্ট আবাস যোজনায় ঘর তৈরির দাবি জানালেন সুকান্ত মজুমদার।

শনিবারের আকাশ ভাঙা বৃষ্টিতে শেষ হয়ে গিয়েছে সংসার। চোখের সামনে ভেসে গেছে ঘরবাড়ি। বিস্তীর্ণ অঞ্চল চলে গেছে জলের তলায়। নদী গ্রাস করেছে লোকালয়। মানুষের আশ্রয় এখন ত্রাণ শিবিরে। সেই সব বানভাসিদের জন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কাছে ইন্সন্ট্যান্ট ঘর তৈরির দাবি জানান সুকান্ত মজুমদার। বানভাসিদের জন্য ত্রাণ বিলি করতে গিয়ে জলপাইগুড়ির তিন বিধানসভার দূরাবস্থায় থাকা মানুষের সঙ্গে দেখা করেন তিনি। বিভিন্ন জায়গায় বানভাসিরা ঘরছাড়া। তাঁর কাছে ঘর তৈরি করে দেওয়ার দাবি জানান তারা। ময়নাগুড়িতে এক পরিবার তাঁর পা ধরে ঘর তৈরি করে দেওয়ার আর্জি জানান।
সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করবো বন্যায় যাদের ঘর ভেঙ্গেছে, স্পট ভিজিট করে রাজ্যের আধিকারিকরা যেন সঙ্গে সঙ্গে তাদের আবাস যোজনার প্রথম কিস্তির টাকা অনুমোদন করে দেয়। আর ৭ দিনের মধ্যে যেন ওই টাকা বানভাসীদের অ্যাকাউন্টে চলে যায়।

সুকান্ত মজুমদার জানান, প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল থেকে ১ হাজার ৯০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে উত্তরবঙ্গের বন্যা দুর্গত মানুষের জন্য। সেই টাকা যদি এরা পায়ে প্রত্যেকের ঘর হয়ে যাবে।
এদিকে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উত্তরবঙ্গে এসে ফিরে গিয়েছেন। তিনি ভেঙ্গে পড়া ব্রিজ, রাস্তা আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সারানোর নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতদের পরিবার পিছু একজন সদস্যকে হোমগার্ডের চাকরি দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। দুর্গত এলাকায় কমিউনিটি কিচেন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এছাড়া যাদের ঘর বাড়ি নষ্ট হয়েছে তাদের নামের তালিকা তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছেন। যাদের নথি নষ্ট হয়ে গিয়েছে সেগুলি যাতে তাড়াতাড়ি করে দেওয়া যায় তার জন্য ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেছেন।