Sukanta, Mamata, জিএসটি কাউন্সিলে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীরাই থাকেন, বীমা থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের মমতার দাবিকে নোংরা রাজনীতি বলে কটাক্ষ সুকান্তর

রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বীমা ক্ষেত্র থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের দাবিকে নোংরা রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার উত্তরবঙ্গে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এক হাত নেন সুকান্ত মজুমদার। জিএসটি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উপড়ে দেন তিনি।

বীমা ক্ষেত্র থেকে জিএসটি প্রত্যাহারের জন্য কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহনমন্ত্রী নীতিন গড়গরি। এদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও এই দাবি করেছেন, কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই দাবিকে নোংরা রাজনীতি বলে কটাক্ষ করেছেন সুকান্ত মজুমদার। কারণ তিনি জানিয়েছেন, জিএসটি কোথায় ও কোন কোন ক্ষেত্রে লাগু হবে তা ঠিক হয় জিএসটি কাউন্সিলে। আর জিএসটি কাউন্সিলের সদস্য প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও অর্থমন্ত্রী। তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যা করছেন তার নোংরা রাজনীতি।

তিনি আরো বলেন, ভারতে প্রথম যখন জিএসটি কাউন্সিল তৈরি হয়েছিল তার মাথায় ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডান হাত তৎকালীন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তিনি ছিলেন জিএসটি কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। তখন অমিত মিত্রের নেতৃত্বে জিএসটি কাউন্সিল ঠিক করেছিল কোন কোন ক্ষেত্রে জিএসটি লাগু হবে। এখনো তাই হয়। এখনো একইভাবে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে বসে‌ সেখানে প্রত্যেক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, অর্থমন্ত্রীরা থাকেন। তারা ঠিক করেন কোন জিনিসের উপর জিএসটি লাগু হবে। কত শতাংশ জিএসটি লাগু হবে। কেন্দ্রীয় সরকার এটা ঠিক করে না। সবাই মিলে সেখানে ঠিক হয়। অথচ জিএসটির দায় পড়ে কেন্দ্রের ঘাড়ে। আর রাজ্য ভাগ নেয়। সুকান্তর আরো কটাক্ষ, জিএসটির ভাগ বাড়ার ফলেই রাজ্য সরকার টেনেটুনে চলছে।

অন্যদিকে পরপর শুট আউটের ঘটনায় রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, গোটা রাজ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য বলে কিছু নেই। চাকরি-বাকরি নেই। শিল্প নেই। এটাই এখন শিল্প হচ্ছে। একসময় বিহার নিয়ে অপহরণের সিনেমা তৈরি হয়েছিল। এখন বাংলার যা পরিস্থিতি তাতে হয়তো নব অপহরণ ফিল্ম তৈরি হবে।

কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বিজেপিতে যোগদানের জল্পনা প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমরা এখন সেই পরিস্থিতিতে নেই যে, আমরা এ বিষয়ে কিছু বলব। এটা অধীর চৌধুরীর দেখার বিষয়, যে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ কী। তিনি স্বনামধন্য প্রবীণ রাজনৈতিক নেতা। তিনি যা খুশি সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, আমরা বলার কেউ নই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.