নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা বালুরঘাটের প্রার্থী সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর অন্য পরিচয় আছে।
ভোটে তিনি লড়ছেন না বলে জানিয়েছিলেন নির্মলা সীতারামন। দলকে আগেই জানিয়েছিলেন তিনি ভোটে দাঁড়াতে চান না। এরই মধ্যে নির্বাচনী বন্ড নিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর মন্তব্য সামনে এসেছে। নির্বাচনী বন্ডকে শুধু দেশের নয়, বিশ্বের সবচেয়ে বড় দুর্নীতি বলে আখ্যা দিয়েছেন নির্মলা সীতারামনের স্বামী। যার পাল্টা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বাইরেও তাঁর এক অন্য পরিচয় আছে বলে দাবি করেছেন সুকান্ত মজুমদার। বালুরঘাটে নির্বাচনী প্রচারে এসে বিজেপি প্রার্থী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “যার কথা বলছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর স্বামীর বাইরেও তাঁর অন্য পরিচয়ও আছে। এটা আপনারা খোঁজ নিন, তাহলেই জানতে পারবেন। এরা লেফট লিবারেল গ্যাঙের সদস্য। এখন তো সেটাই বলবে। তারা চায় চিনের টাকা আসুক এদেশে। চিন ভারতীয় রাজনৈতিক দলগুলিকে ফান্ডিং করুক। অভিযোগ উঠেছে কেজিবির রিপোর্ট আছে যে সিপিআইএমকে কমিউনিস্ট পার্টিকে সেই সময় রাশিয়া সাহায্য করত। সেই সময় যদি নির্বাচনী বন্ড থাকতো তাহলে সব ধরা পড়তো। বন্ড ছিল না বলে ধরা পড়েনি।
অন্যদিকে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের স্বামীর বক্তব্য প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “এখন তো নির্বাচনী বন্ড হওয়াতে আপনারা জানতে পারছেন যে কে কাকে কত টাকা দিয়েছে। ইলেক্টোরাল বন্ড চালু হওয়ার আগে কংগ্রেস বা বিজেপি কত টাকা পেয়েছে। কোন দল কোন ব্যবসায়ী সংস্থা থেকে টাকা পেয়েছে আপনারা বলতে পারবেন, কারণ ডকুমেন্ট আছে? কিন্তু এর আগে এর কোনো নথি ছিল না। এটা একটা সিস্টেম, যেটা চালু করেছে আমাদের সরকার। আমরা এটাও বলেছি এটাই যে বেস্ট তা নয়। এটা অ্যাভেলেবেল বেস্ট। ভবিষ্যতে যদি নতুন কোনো বুদ্ধি আসে, তাহলে নতুন বুদ্ধিও কাজে লাগানো যেতে পারে। কিন্তু এর আগে তো সিস্টেমটাই ছিল না। সেটা তো সম্পূর্ণ অন্ধকার। কে কাকে টাকা দিচ্ছে, কত টাকা দিচ্ছে, ভারতবর্ষের কোনো কোম্পানি দিচ্ছে, নাকি বিদেশি কোনো কোম্পানি দিচ্ছে কেউ জানতেও পারতো না।”
এদিকে বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রর সরকারি সাহায্য নেওয়া নিয়ে তৃণমূলের আক্রমণের জবাব
দিয়ে তিনি বলেন, সরকারি সাহায্য নেওয়া কি অপরাধ? তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন ভারতের পাসপোর্ট ব্যবহার করেন? দেশে তো মোদীর সরকার। এটা কোনো যুক্তি হলো নাকি? সরকার সবার আধার কার্ড দিচ্ছে। কেন্দ্রীয় সরকার দিচ্ছে। তার মানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আধার কার্ড ব্যবহার করবেন না? তৃণমূলের কোনো নেতার তবে আধার কার্ড থাকা উচিত নয়।