মুখ্যমন্ত্রী একজন প্রাতিষ্ঠানিক চোর। এতে সিলমোহর দিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত। বুধবার বোলপুরে এসে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে তৃণমূলকে চুড়ান্ত কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। তিনি বলেন, এতদিন বিজেপি শুধু তৃণমূল ও দলের নেতা নেত্রীদের চোর বলতো, এখন সুপ্রিম কোর্ট বলেছে।
সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “প্রধান বিচারপতি স্পষ্ট ভাবে বলেছেন সিস্টেমিক ফ্রডের বাংলা কি হয়? প্রাতিষ্ঠানিক চোর। এসএসসি রাজ্য সরকারের অন্তর্গত। আর এসএসসির মাথা কে? মুখ্যমন্ত্রী। এবার মুখ্যমন্ত্রী যে প্রাতিষ্ঠানিক চোর তাতে সিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট।”
মঙ্গলবার রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় শীর্ষ আদালতের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূরের ডিভিশন বেঞ্চ। সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটিকে পরিকল্পিত জালিয়াতি বলে আখ্যা দিয়ে আদালতের তরফে স্পষ্ট জানানো হয়, যোগ্য অযোগ্য প্রার্থীদের মধ্যে বিভাজন করা গেলে প্যানেল বাতিল করা ন্যায় সঙ্গত নয়। অতএব এখনই কারো চাকরি বাতিল হচ্ছে না। ১৬ জুলাই এই মামলার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
নির্বাচনী প্রচারে এসে সেই প্রসঙ্গে তৃণমূল সরকারকে আক্রমণ করেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। কারণ সুপ্রিম কোর্ট এই গোটা ঘটনাকে সিস্টেমেটিক ফ্রড বলেছেন।
আজ ভোট প্রচারে এলেও প্রথমে রবীন্দ্র জয়ন্তী উপলক্ষে কবিগুরুর মূর্তিতে মাল্যদান করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর সঙ্গে বিজেপির বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী পিয়া সাহা। সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অষ্টম মন্ডল। এরপর বোলপুর লোকসভা কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী পিয়া সাহার সমর্থনে রোড শো করেন তিনি।
বিশ্বভারতীর প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূলকে আক্রমণ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “তৃণমূল ভোট এলেই বাঙালি বাঙালি করে। কিন্তু বাঙালির জন্য কিছু করে না। বিজেপি বাঙালির জন্য ভাবে। বিশ্বভারতী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। এখানে কতবার সুকান্ত মজুমদার এসেছে? অথচ রাজ্যের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে দেখুন তৃণমূলের নেতারা গিয়ে ওয়েবকুপার মিটিং করেন।”