Sukanta, BJP, সরকারি ত্রাণ পৌঁছায়নি বানভাসি এলাকায়, বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে অভিযোগ সুকান্তর

বৃহস্পতিবার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের একাধিক জায়গা পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। গ্রামের পর গ্রাম হাওড়া, হুগলি, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, বীরভূম সহ বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত। মানুষের অবস্থা দুর্বিষহ। এদিন পাঁশকুড়া, ঘাটাল, দাসপুর যান সুকান্ত মজুমদার। এলাকা ঘুরে তিনি বলেন, সরকারের কোনো ত্রাণ বহু এলাকায় যায়নি। যেখানে গেছে সেখানে পচা চাল গেছে।

এদিন পাঁশকুড়া থেকে ঘাটাল যাওয়ার পথে সুকান্ত মজুমদারের কনভয় আটকে দেয় সাধারণ মানুষ। বন্যার কারণে তাদের দুর্বিষহ পরিস্থিতি মোকাবিলায় কোনো পদক্ষেপ হয়নি। তাদের দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে আসতে হবে। তারা বুঝতে পারেননি ওটা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদারের গাড়ি। পরে তিনি তাদের সাথে কথা বলে সবটা বোঝান। সুকান্ত মজুমদার অভিযোগ করেন রাজ্য সরকার বন্যার ত্রাণে পচা চাল বিলি করেছে।

মুখ্যমন্ত্রী এই বন্যার দায় বিবিসির উপর চাপিয়ে ম্যান মেড বন্যা বলে দাবি করেছেন। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “আমরা প্রতি বছরই ওনার মুখে ম্যান মেড বন্যার কথা শুনি। এই ম্যান মেড বন্যা যখন হয় তাহলে উনি কেন আগে থেকে তা আটকানোর বা মোকাবিলার ব্যবস্থা করেন না? এলাকায় বাঁধ মেরামতের কাজ কেন বর্ষার আগে হয় না?

ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান সম্পর্কে তিনি বলেন, এলাকার উন্নয়নের জন্য সংসদকে লেগে থাকতে হবে। কিন্তু ঘাটাল এলাকার মানুষ এমন একজন সাংসদকে নির্বাচিত করছেন যিনি সময় দিতে পারেন না।” একই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা দেগে তিনি বলেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রীকে প্রথমে ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফ মানসিকতা থেকে বেরোতে হবে। উনি কেন্দ্র সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্যে এমন একটা পরিস্থিতি তৈরি করে রেখেছেন মনে হচ্ছে কেন্দ্র ও রাজ্য ডাব্লিউ ডাব্লিউ এফে কুস্তি করছে। কুস্তি করার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে এসে কেন্দ্র এবং রাজ্যকে এই সমস্যার সমাধান করতে হবে।”

এলাকার পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, “ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি হয়ে রয়েছে, জল কিছুটা নামছে। আমরা আমাদের পার্টির তরফ থেকে যথা সম্ভব সাহায্যের চেষ্টা করছি।”

পাঁশকুড়ার বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার দুর্গতদের ত্রাণ সামগ্রী বিলি করেন। নিজে হাতে খাবার বিলি করেন।

বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, সরকার বন্যা দুর্গত সাধারণ মানুষের কাছে পানীয় জল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়নি। তিনি আশ্বাস দেন, “আমরা যতটা পারছি বিভিন্ন এলাকায় পৌঁছানোর চেষ্টা করছি। মানুষের হাতে কিছু সাহায্য তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছি। এখন ত্রিপল, জল আপাতত দেওয়া হচ্ছে। প্রয়োজনে ওষুধ ও ডাক্তার পাঠাবো।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.