দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং নির্যাতিতার সুবিচারের দাবিতে কুলতলী থানার সামনে অবস্থান বিক্ষোভ করলো বিজেপি। রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে আজ এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে ধুন্ধুমার পরিস্থিতির সেই হয়।
জয়নগরের নাবালিকার ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় সরগরম হয়েছে বাংলার রাজনীতি। বিরোধী দলগুলো প্রতিবাদ শুরু করেছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে আজ কুলতলী থানায় বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। থানার সামনে অবস্থানে বসে বিজেপি নেতৃত্ব। সুকান্ত মজুমদার জানান, বাংলার মহিলাদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ বাংলার পুলিশ। ছাত্রী নিখোঁজের ঘটনার পরও কোনো পদক্ষেপ করেনি পুলিশ। পুলিশের এই নিষ্ক্রিয় ভূমিকার প্রতিবাদে তারা থানা ঘেরাও করেছেন।
তবে এই অবস্থান বিক্ষোভ ঘিরে উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। মিছিল করে থানায় যাওয়ার পথেই বিরাট পুলিশ বাহিনী ব্যারিকেড করে বিজেপির মিছিল আটকায়। উত্তপ্ত হয় পরিস্থিতি। বিজেপির অভিযোগ, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ মিছিলে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। ব্যারিকেড ভাঙ্গে আন্দোলনকারীরা।
পুলিশ তৃণমূলের নির্দেশে চলছে, এই অভিযোগ করে সুকান্ত মজুমদার বলেছেন, “আগামী দিন থানাতে বিক্ষোভ দেখাতে এসে বড় তৃণমূলের পতাকা নিয়ে এসে মাথায় লাগিয়ে দেব। থানা গুলো তৃণমূলের পার্টি অফিস বানিয়ে দেব।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করে করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কান ধরে চেয়ার থেকে নামিয়ে বঙ্গোপসাগরে নিক্ষেপ করুন। এসডিপিও সম্বন্ধে বলেন, গণেশ মণ্ডলকে থানায় ডেকে নিয়ে ঘোষণা করে দিন তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি। একাধিক পুলিশ আধিকারিককে তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি, ব্লক সভাপতি সহ একাধিক পদে নিয়োগ করে দিক। থানায় তৃণমূল কংগ্রেসের ঝান্ডা লাগিয়ে দিন।” সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, পুলিশ দলদাস হয়ে তাদের শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলনে বাধা দিয়েছে। বিরাট সংখ্যক পুলিশ ও র্যাফ নামে আজ। যদি এর এক অংশ পুলিশ শুক্রবার রাতে কাজ করত, তাহলে জয়নগরের নাবালিকার এই পরিস্থিতি হতো না।
আর জি করের ঘটনার পর এবার জয়নগরের ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে মানুষকে। শনিবার থেকে লাগাতার বিক্ষোভ দেখাচ্ছে স্থানীয় গ্রামবাসীরা। ভাঙ্গচুর করা হয়েছে পুলিশ ফাঁড়িও। জয়নগরের ঘটনায় নারী সুরক্ষা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনে রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর। নাবালিকার পরিবার এবং স্থানীয়রা পুলিশের বিরুদ্ধে চরম উদাসীনতার অভিযোগ তুলে ফেটে পড়েছে উত্তেজিত জনতা।
আজ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, আজ ট্রেলার দেখালাম। আগামী দিন সিনেমা দেখাবো। বিক্ষোভ শেষে মৃত নাবালিকার বাড়িতেও যান বিজেপির নেতৃত্ব।