এবারের লোকসভা ভোটে আসন সংখ্যা কমলেও ভোট বেড়েছে বিজেপির। ফলে ২৬ এ এই রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ক্ষেত্রে বিজেপি কোনো ভাবেই পিছিয়ে নেই, বরং আগের বিধানসভা ভোটের তুলনায় এগিয়ে রয়েছে বিজেপি। ফলে নিরাশার কোনো জায়গা নেই বলেই দাবি বিজেপির রাজ্য সভাপতির। বরং তাঁর গলায় আগামীতে রাজ্যে ক্ষমতায় আসার ব্যাপারে প্রত্যয় দেখা গেছে।
সাংবাদিকদের সুকান্ত মজুমদার বলেন, “এই মুহূর্তে ১০০ বিধানসভায় বিজেপির লিড আছে। যেখানে ২০২১-এ আমাদের ৭৭টি বিধানসভা লিড ছিল। আরেকটু জোরে ধাক্কা দিলেই আমরা ১৩০ থেকে ১৪০ এ পৌঁছে যাব।”
অন্যদিকে পার্টির আসন সংখ্যা কমার ক্ষেত্রে সাংগঠনিক দুর্বলতাকে দায়ী করার ইস্যুতে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “কোনো পার্টি যদি রাজ্যে ক্ষমতায় না আসে তখনই বলা হয় তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা আছে। ২০১৯ সালে যখন আমরা জিতেছি তখনও সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। তখনও আমরা তৃণমূলের থেকে বেশি আসন পাইনি। সাংগঠনিক দুর্বলতা ক্ষমতায় আসার আগে অবধি থাকে। ক্ষমতায় এসে গেলে তখন বলা হয় আর সাংগঠনিক দুর্বলতা নেই।”
বার বার দাবি করা হয় বামেদের ভোট রামে গেছে বলে বিজেপি জিতছে। এবার সেই ভোট তৃণমূলে গেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, এবারের ভোট ধরলে পরপর দু-তিনবার আমরা ৩৮ শতাংশের উপর ভোট পেয়েছি। ফলে এবার সাংবাদিকদের আর বলা উচিত নয় যে বামেদের ভোট রামে গেছে। এবার এটা বলা বন্ধ করা উচিত।” সুকান্ত মজুমদার জানান, এই মুহূর্তেই রাজ্যে ৩৮ শতাংশের বেশি ভোট বিজেপি পেয়েছে। প্রায় ৩৯ শতাংশের কাছাকাছি ভোট পেয়েছে। অর্থাৎ প্রায় এক শতাংশ ভোট বেড়েছে। সেখানে গত বিধানসভা নির্বাচনে, তুলনায় তৃণমূলের ভোট দু’ শতাংশ কমেছে। গত বিধানসভায় তৃণমূল ৪৮ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছিল, এবার সেটা ৪৬ শতাংশ হয়েছে। প্রায় তিন শতাংশের কাছাকাছি ভোট কমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের।” তাঁর কথায়, “হতাশার মতো বা নিরাশার মতো কিছু হয়নি। আমাদের আর একটু ধাক্কা মারতে হবে ১০০ টাতে আমরা এগিয়ে আছি, ১৩০টা অব্দি আমরা খুব সহজেই পৌঁছাতে পারবো। আর ১৩০ পর্যন্ত পৌঁছাতে পারলেই বিজেপি সরকার গড়বে।
সুকান্ত মজুমদারের দাবি, ২৬- এর আগে হাওয়া বদল হবেই। ১০০টা বিধানসভায় আমরা এগিয়ে আছি। একটু ধাক্কা দরকার ১৪০ অব্দি পৌঁছাতে। খুব বেশি দূরত্ব বাকি নেই।আমাদের ভোট বাড়ছে।