সপ্তাহখানেক কেটে গেলেও খোঁজ নেই সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের। পুলিশি অপদার্থতা, রাজ্য প্রশাসনের সংবিধান বিরোধী কার্যকলাপ, তৃণমূল নেতাদের দেশবিরোধী ও বিচ্ছিনতাবাদী কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার ন্যাজাট থানা অভিযান কর্মসূচি ছিল বিজেপির। এই অভিযানে বাধা দেয় পুলিশ। এরপর শুরু হয় পুলিশের সঙ্গে বচসা ও ধস্তাধস্তি। তারপর সেখানেই অবস্থান বিক্ষোভে বসে পড়েন বিজেপি নেতা কর্মীরা। সেখানে সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সুকান্ত মজুমদার।
গত ৫ জানুয়ারি সন্দেশখালিতে শেখ শাহজাহানের খোঁজে ইডি যায়। এর পর শাহজাহানের অনুগামীদের দ্বারা হামলার শিকার হন ইডি আধিকারিকরা। তার পর থেকেই ফেরার ওই দাপুটে তৃণমূল নেতা। বিজেপির দাবি, পুলিশের সহযোগিতায় গা ঢাকা দিয়েছেন শাহজাহান।
পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে রেশন দুর্নীতি মামলায় নাম জড়ানো তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের যোগসাজশের কথা এদিন উল্লেখ করেন সুকান্তবাবু। প্রমাণ হিসাবে নিজের মোবাইলে থাকা ছবিও দেখান তিনি। উল্লেখ্য, তাঁকে ‘সবুজ দ্বীপের রাজা’ বলেও কটাক্ষ করেন সুকান্ত। পুলিশ সুপারের পদত্যাগও দাবি করেন তিনি। বিজেপি ক্ষমতায় আসলে শাহজাহানের বাড়িতে বুলডোজার চলবে বলে হুঙ্কার দেন সুকান্তবাবু।
ন্যাজাট থানা অভিযান ও সুকান্ত মজুমদারের নেতৃত্বে বিজেপি-র থানা ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শেষ পর্যন্ত পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙ্গে ন্যাজাট থানায় পৌঁছনোর চেষ্টা করে গেরুয়া শিবির। পুলিশ ও বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের ধস্তাধস্তি হয়। ব্যারিকেডের সামনেই অবস্থানে বসেন সুকান্তবাবুরা। “যেভাবেই হোক ন্যাজাট থানায় ডেপুটেশন জমা দেব”, বৃহস্পতিবার সকালে হুঙ্কার দিয়েছিলেন সুকান্ত মজুমদার। শেষ পর্যন্ত থানায় স্মারকলিপি জমা দেওয়া হয়।