শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি-র হেফাজতে ‘কালীঘাটের কাকু’। কেন? ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কথামতো পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ১০ লক্ষ টাকা দেন কুন্তল ঘোষ’,আদালতে বিস্ফোরক দাবি করলেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এখন ইডির হেজাজতে তৃণমূলের সাসপেন্ডেড যুবনেতা কুন্তল ঘোষ। তাঁর মুখেই প্রথম ‘কালীঘাটের কাকু’ ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের নাম। গতকাল, মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে তাঁকে ম্যারাথন জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি-র আধিকারিকরা। এবং শেষপর্যন্ত গ্রেফতার করা হয় সুজয়কৃষ্ণকে!
কেন? ইডি সূত্রের খবর, জেরায় বেশ কয়েকটি প্রশ্নে সুজয়কৃষ্ণের জবাব সন্তোষজনক নয়। বেশ কয়েকটি প্রশ্নে আবার জবাব এড়িয়েও গিয়েছেন তিনি। এদিন ধৃতকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতের আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। আর যাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তিনি জামিনের আবেদন করেন। সেই আবেদন অবশ্য খারিজ হয়ে গিয়েছে। সুজয়কে ১৪ দিনের ইডি হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
এদিন শুনানিতে বিচারক জানতে চান,’কেন সুজয়কৃষ্ণকে হেফাজতে চাওয়া হচ্ছে? শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি তাঁর কী ভূমিকা’? জবাবে ইডি-র আইনজীবী আদালতকে জানান, ‘কুন্তল ঘোষের বয়ানে সুজয় ভদ্রের নাম পাওয়া গিয়েছে। ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার্থীদের চাকরির জন্য সুজয়কৃষ্ণকে ৭০ লক্ষ টাকা দেন কুন্তল। সেই টাকা থেকে সুজয়ের নির্দেশে ১০ লক্ষ দেওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে’। তাঁর আরও বক্তব্য, ‘গ্রেফতার হওয়ার পর থেকে খাওয়াদাওয়া ছেড়ে দিয়েছেন সুজয়কৃষ্ণ। ইডি-র জেরা এড়ানোর জন্য অসুস্থ হতে চাইছেন তিনি’।