টলিপাড়ায় একের পর এক ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় কার্যত তোলপাড়। গত দু-সপ্তাহে তিন অভিনেত্রীর ‘আত্মহত্যা’র চাঞ্চল্যকর ঘটনা সামনে এসেছে। এর মাঝেই খারাপ খবর ওপার বাংলা থেকেও। আত্মঘাতী ওপার বাংলার তরুণ গায়ক আতিফ আহমেদ নিলয়। চলতি সপ্তাহের শুরুতেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে জানানো হয়েছে আত্মহত্যই করেছেন নিলয়। কিন্তু কেন এই চরম সিদ্ধান্ত নিলেন আতিফ নিলয়?
প্রয়াত গায়কের বন্ধু তথা অপর কন্ঠশিল্পী তাসনিম মীম সেদেশের সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন বেশ কয়েকমাস ধরেই ডিপ্রেশনে ভুগছিল আতিফ আহমেদ নিলয়। মাস কয়েক আগেই ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে মারা যায় নিলয়ের বাবা, এরপর থেকে ফেসবুকেও হতাশা জড়ানো পোস্ট দিত শিল্পী।
শেষবার গত ২১ মে ফেসবুকে একটি পোস্ট লেখেন নিলয়। সেখানে লেখা রয়েছে, ‘আল্লাহ আমার উপর হেদায়েত দান করুন। দিন দিন কেমন জানি হয়ে যাচ্ছি। নিজের অজান্তে কেন যেন সবাইকে কষ্ট দিয়ে কথা বলি। কিছু বুঝতে পারতেছি না কেন এমন হচ্ছে।’ আর এই পোস্ট লেখার মাত্র কয়েক ঘন্টার মধ্যেই ‘আত্মঘাতী’ হলেন গায়ক।
তবে গায়কের ঘনিষ্ঠমহল সূত্রে খবর, শুধু বাবাকে হারানোর যন্ত্রণা নয়, দাম্পত্য জীবনেও একেবারেই সুখী ছিলেন না নিলয়। তাঁর স্ত্রীর পরিবারের তরফে নানান সমস্যার শিকার হচ্ছিলেন নিলয়, এমনটাই দাবি করেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিলয়ের এক বন্ধু।
তবে শুধু বাবাকে হারানোর বেদনা নয় বা নিজ পরিবারের সমস্যা নয়, স্ত্রী নওশিন আক্তারের পরিবার নিয়েও নিলয় ডিপ্রেশনে ভুগতেন বলে জানিয়েছেন তার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বন্ধু।
‘কার বাসর ঘুমাও বন্ধু’, ‘বোকা পাখি আপন চিনলি না’-সহ একাধিক জনপ্রিয় গান দর্শকদের উপহার দিয়েছেন আতিফ আহমেদ নিলয়। তরুণ প্রজন্মের অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী ছিলেন এই বাঙালি গায়ক। তাঁর মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ অনুরাগীরা।