1/6প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েই সমালোচনার মুখে পড়লেন ঋষি সুনক। সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ফিরিয়ে আনায় বিরোধীদের আক্রমণের মুখে পড়েছেন ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী। বিরোধীদের প্রশ্ন, গত সপ্তাহেই সরকারি গোপনীয়তা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন বলে যিনি ইস্তফা দেন, তাঁকে কীভাবে সরকারের শীর্ষপদে ফিরিয়ে আনা হল?
2/6মঙ্গলবার ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বভার গ্রহণ করেছেন ঋষি। যিনি চলতি বছর তৃতীয় ব্যক্তি হিসেবে ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেছেন। দায়িত্বভার গ্রহণের পর তিনি যে নয়া বেছে নিয়েছেন, তাতে আছেন সুয়েলাও। সপ্তাহখানেক সুয়েলার পরিবর্তে যে গ্র্যান্ট শ্যাপস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছিলেন, তাঁকে বাণিজ্য মন্ত্রী করেছেন ঋষি।
3/6গত সপ্তাহেই লিজ ট্রুস সরকার থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সুয়েলা। সেইসময় তিনি দাবি করেছিলেন, অভিবাসন সংক্রান্ত সরকারি নীতির পক্ষে সমর্থন জোগাড়ের উদ্দেশ্যে ব্যক্তিগত ইমেল থেকে এক ‘সংসদীয় সতীর্থকে’ ইমেল পাঠিয়েছিলেন। তার ফলে লঙ্ঘিত হয়েছে নিয়ম। অভিবাসন সংক্রান্ত সেই নথির বেশিরভাগটাই সাংসদরা জানলেও নৈতিক কারণে ইস্তফা দিয়েছেন বলে দাবি করেছিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত সুয়েলা।
4/6যদিও ব্রিটেনের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, সুয়েলাকে ইস্তফার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। যিনি ইস্তফার পর জনসমক্ষেই ঋষির সমর্থনে মুখ খুলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘আমাদের ঐক্য, স্থিতিশীলতা এবং দক্ষতার প্রয়োজন আছে। যে প্রার্থীরা আছেন, সেই চাহিদা পূরণ করতে পারেন একমাত্র ঋষি সুনক। তাঁকে সমর্থন করতে পেরে আমি গর্বিত।’
5/6সেই পরিস্থিতিতে সুয়েলা যে বড় পদ পেতে পারেন, তা স্পষ্ট ছিল। তবে পুরো বিষয়টির সমালোচনা করেছেন বিরোধী লেবার পার্টির সাংসদ ক্রিস ব্রায়ান্ট। তিনি বলেন, ‘সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য বরখাস্ত হওয়ার কয়েকদিন পরেই সুয়েলা ব্রেভারম্যানকে ফের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিয়োগ করার ঘটনায় মোটেও অখণ্ডতা, দক্ষতা, পেশাদারিত্ব বা দায়িত্ববান রাজনীতির ছাপ ফুটে উঠছে না। এটা নিছক ছলচাতুরি।’
6/6উল্লেখ্য, সুয়েলার বাবার ‘শিকড়’ লুকিয়ে আছে গোয়ায়। মায়ের ‘শিকড়’ আছে তামিলনাড়ুতে। সেই সুয়েলা ভারত এবং ব্রিটেনের প্রস্তাবিত বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়ে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। তা নিয়ে ভারতের রোষের মুখে পড়েছিলেন ব্রিটেনের তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী