প্রচণ্ড গরম ছিল দুপুরে। তাপমাত্রা পেরিয়ে গিয়েছিল ৪০ ডিগ্রির ঘর। বিকেল গড়াতেই আকাশ কালো করে বৃষ্টি নামে পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়্গপুরে। মেদিনীপুর শহরেও বৃষ্টি হয়েছে। মুহূর্তেই বদলে যায় আবহাওয়া। হয় শিলাবৃষ্টিও। তার জেরে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে এলাকায়।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, বুধবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে। হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে, বুধ এবং বৃহস্পতিবার তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ায়। বুধবার খড়্গপুরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা পৌঁছেছিল ৪১ ডিগ্রিতে। কিন্তু বিকেল গড়াতেই দেখা গেল আকাশের ভিন্ন চেহারা। আকাশ কালো হয়ে যায় মেঘে। শুরু হয় ঝোড়ো হাওয়া। সেইসঙ্গে পড়তে থাকে বৃষ্টি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ঝড়বৃষ্টি শুরু হতেই ছোট ছোট আকারের শিল পড়তে থাকে। মিনিট দশেক ধরে চলে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো হাওয়া। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, দিনভর প্রচণ্ড গরমে যে অস্বস্তি তৈরি হয়েছিল তা কেটে গিয়েছে বিকেলের সাময়িক বৃষ্টিতে। তাপমাত্রাও কমেছে কিছুটা।
শুক্রবার বাঁকুড়া, পশ্চিম বর্ধমান, পূর্ব বর্ধমান, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ এবং নদিয়ার মতো কয়েকটি জেলায় তাপপ্রবাহের সতর্কতা দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। পাশাপাশি, এ-ও বলা হয়েছে, রবিবার দক্ষিণবঙ্গে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। আগামী ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় ‘মোকা’ ভূখণ্ডের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই ২৪ পরগনা, এবং পূর্ব মেদিনীপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে বলেও জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।