কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে কনস্টেবল নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ করে মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাই কোর্টে। অভিযোগ, ২০২১ এবং ২০২২ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট (স্থায়ী বাসিন্দার শংসাপত্র) ব্যবহার করা হয়েছে। এই নিয়ে এ বার স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি)-এর কাছে হলফনামা চাইলেন বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়। কমিশনকে হলফনামা দিয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে। বিচারপতির পর্যবেক্ষণ, যত জন মামলাকারী, ঘোষিত শূন্য পদ থেকে সেই সংখ্যক আসন খালি রাখতে হবে। আদালতের অনুমতি ছাড়া নিয়োগ করা যাবে না। আদালতের এই নির্দেশের ফলে আপাতত কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে সাড়ে ৯ হাজার শূন্যপদে কিছু সংখ্যক আসন খালি রাখতে হবে। আগামী নভেম্বর মাসে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
২০২১ এবং ২০২২ সালে কেন্দ্রীয় আধা সামরিক বাহিনীতে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি দেয় স্টাফ সিলেকশন কমিশন (এসএসসি)। মামলাকারী শুভ্রদীপ পাল-সহ কয়েক জন চাকরিপ্রার্থীর আইনজীবী দিব্যেন্দু চট্টোপাধ্যায় এবং শতাব্দী দাস সওয়াল করে জানান, ওই দু’বছরের নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অনেক প্রার্থী ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছেন। তাঁরা এ রাজ্যের বাসিন্দা না হয়েও তা হওয়ার দাবি করেছেন। তার সপক্ষে শংসাপত্রও দাখিল করেছেন। মামলাকারীদের দাবি, ভুয়ো শংসাপত্র দাখিল করা ওই প্রার্থীদের প্যানেলে জায়গা দেওয়া হয়েছে।
সোমবার এই মামলায় বিচারপতি মুখোপাধ্যায় এসএসসির কাছে হলফনামা তলব করেছেন। তাঁর নির্দেশ, এসএসসিকে হলফনামা দিয়ে জানাতে হবে ভুয়ো ডোমিসাইল সার্টিফিকেট ব্যবহার করেছেন এমন কাউকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় রাখা হয়েছে কি না। অন্য দিকে, এই সংক্রান্ত অন্য একটি মামলায় আগেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা। সোমবার হাই কোর্ট ওই তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্টও সিবিআইয়ের কাছে চেয়েছে। পরবর্তী শুনানির দিন সেই রিপোর্ট পেশ করতে হবে সিবিআইকে।