স্কুল চালানোর খরচের জন্য পড়ুয়াদের কাছে সর্বাধিক ২৪০ টাকা নেওয়ার সরকারি নিয়ম রয়েছে বলে জানিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর। অথচ উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরের ন’হাটা উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের কাছে ভর্তি ‘ফি’ বাবদ ৬০০ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ক্ষুব্ধ ছাত্র ও অভিভাবকদের অভিযোগ, তাদের অধিকাংশেরই স্থায়ী রোজগার নেই। সেখানে ভর্তির ফি জোগাড় করা কার্যত অসম্ভব। অভিভাবকরা প্রতিবাদ করতে গেলে শিক্ষকদের সঙ্গে বচসা হয়। এর প্রতিবাদে তারা অবরোধ শুরু করে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অবশ্য দাবি, স্কুল চালানোর খরচ জোটাতেই এমন ব্যবস্থা নিতে হয়েছে।
স্কুল শিক্ষা দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, শহর ও গ্রামের স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের কাছ থেকে বার্ষিক সর্বাধিক ২৪০ টাকা নেওয়া যায়। তবে পড়ুয়াদের আর্থিক পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে অধিকাংশ স্কুলই কম ফি নেয়। গ্রামের দিকে ফি-এর পরিমাণ আরও কম। এই ফি-এর টাকা থেকে স্কুলের উন্নয়ন, খেলাধুলো, ম্যাগাজিন, গ্রন্থাগার, নৈশ প্রহরী, পরিচ্ছন্নতা থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ, টেলিফোন এমনকী পরীক্ষার খরচও করা হয়।
তবে ছাত্র ও অভিভাবকদের অভিযোগ, এই অঞ্চলে সব স্কুল গুলিতেই ২৪০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সব স্কুল গুলো পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকে। আর আমাদের স্কুলে গেলেই দেখা যাবে কতটা অপরিস্কার। কোনো দিন ঝাঁটা পড়েনা স্কুলের রুম গুলিতে। অতিরিক্ত ফি নেওয়ার প্রতিবাদে বুধবার ন’হাটা হাই স্কুলের সামনের গোপালনগর-নিমতলা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেছে প্রাক্তন ও বর্তমান ছাত্র সহ অভিভাবকরা। যতক্ষণ পর্যন্ত এই বর্ধিত টাকা না কমানো হবে ততক্ষণ আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছে ছাত্ররা। প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধের ফলে এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে অবরোধকারীদের সঙ্গে কথা বলে অবরোধ তোলে।