নাগাল্যান্ড (Nagaland) থেকে কি প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা (AFSPA)? ডিসেম্বরের গোড়ায় জঙ্গি সন্দেহে সেনাবাহিনীর কমান্ডোদের গুলিতে ১৩ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যুর পরে জোরাল হয়েছে আফস্পা প্রত্য়াহারের দাবি। এই পরিস্থিতিতে রবিবার নাগাল্যান্ড সরকারের তরফে জানানো হল, বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি প্যানেল গঠন করা হবে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) নেতৃত্বে হওয়া একটি বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে। প্য়ানেলকে ৪৫ দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিতে হবে।
রবিবার একটি বিবৃতিতে উত্তর-পূর্বের রাজ্যের প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার, ২৩ ডিসেম্বর একটি বৈঠক করেন অমিত শাহ। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেইফু রিও, উপমুখ্যমন্ত্রী ওয়াই প্যাটন, অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা প্রমুখ।
ওই বৈঠকেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়। তারপরই ঠিক হয় বিষয়টি খতিয়ে দেখতে নতুন কমিটি গঠিত হবে। কমিটির নেতৃত্বে থাকবেন উত্তর-পূর্ব ভারতের জন্য নিযুক্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের অতিরিক্ত সচিব। কমিটির সদস্য হিসেবে থাকবেন নাগাল্যান্ড পুলিশের ডিজিপি ও রাজ্যের মুখ্য সচিব। ৪৫ দিনের মধ্যে কমিটিকে রিপোর্ট পেশ করতে হবে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার বিতর্কিত ওই আইন প্রত্যাহারের দাবিতে প্রস্তাব পেশ হয় নাগাল্যান্ড বিধানসভায়। অবশেষে সেই নিয়ে বৈঠকের পর কমিটি গঠনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হল।
উল্লেখ্য, উত্তর-পূর্ব ভারত থেকে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা (AFSPA) প্রত্যাহারের দাবি আজকের নয়, দীর্ঘ সময়ের। সাধারণ নাগরিকের নিরাপত্তার নামে সেনাবাহিনী তাঁদের উপর অকথ্য নির্যাতন করে বলে প্রায়শয়ই অভিযোগ ওঠে।
নয়ের দশক থেকে অসম, নাগাল্যান্ড-সহ উত্তরপূর্ব ভারতের প্রায় সবকটি রাজ্য ‘উপদ্রুত এলাকা’ হিসাবে চিহ্নিত করে সেখানে সেনাবাহিনীর বিশেষ ক্ষমতা প্রয়োগ করার অধিকার দিয়েছে কেন্দ্র। একই পরিস্থিতি মনিপুরেও। সেখানে আফস্পা প্রত্যাহারের দাবিতে নেত্রী ইরম শর্মিলা চানু দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করেছিলেন।