বিয়ের নামে কিশোরী মেয়েকে পাচার! এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠল সৎ মা’য়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার তদন্তের দাবিতে এবং অপরাধীর শাস্তির দাবিতে সরব হল প্রতিবেশীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কাঁকসার বিডিও অফিস সংলগ্ন মাটিপাড়া এলাকায়। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সৎ মা ফেরার।
ঘটনায় জানা গেছে, কাঁকসা বিডিও অফিস সংলগ্ন মাটিপাড়া এলাকার বাসিন্দা অভিযুক্ত সৎ মা। এলাকার সক্রিয় তৃণমূলকর্মী। গত কয়েকদিন ধরে তার আগের পক্ষের বছর তেরোর মেয়ে বেপাত্তা। ফেসবুকে মেয়েটির বিয়ের ছবি ভাইরাল হতেই সন্দেহ হয় স্থানীয় বাসিন্দাদের। মেয়ের বিয়ে হল অথচ এলাকাবাসী টেরই পেল না। শুধু তাই নয়। অভিযুক্তের গত কয়েক দিন ধরে আচমকা বিলাসবহুল জীবনযাপনে আরও সন্দেহ হয়। তারপরই বাসিন্দারা খোঁজখবর নেওয়া শুরু করে। মঙ্গলবার স্থানীয় বাসিন্দারা কাঁকসা বিডিও র কাছে তদন্তের দাবিতে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। দিলীপ বোস, মিনা বিশ্বাস, সোমা চক্রবর্তী, ববতা লোহার প্রমুখ বাসিন্দারা জানান, “মেয়েটি ওই মহিলার আগের পক্ষের এবং নাবালিকা। বয়স আনুমানিক ১২-১৩ বছর। কোথায় বিয়ে দিয়েছে তার সঠিক খবর না থকলেও, বীরভূমের বোলপুর থানার অন্তর্গত কোনো একটি গ্রামে বিয়ে দিয়েছে বলে ধারনা। বর্তমানে ওই মহিলার চালচলন দেখে আমাদের সন্দেহ হচ্ছে। বিয়ে দেওয়া নাম করে মেয়েটিকে পাচার করে দিতেও পারে, যা আইনের চোখে অপরাধ। তাই প্রশাসনের কাছে বিষয়টি সরেজমিনে তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা প্রকাশের আবেদন জানিয়েছি। একইসঙ্গে প্রশাসনিক ও আইনানুগ ব্যবস্থাগ্রহনের জন্য আবেদন জানিয়েছি।”
স্থানীয় পঞ্চাায়েত সদস্যা রুমা রাও বলেন, “বিষয়টি শুনেছি। কিন্তু ওই মহিলার সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না। মেয়েটির মা তৃণমূল করলেও আইন আইনের পথে চলবে। এটা তদন্ত হওয়া দরকার।” অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাকে ফোনে পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় ত্রিলোকচন্দ্রপুর পঞ্চায়েত প্রধান সাইনা বেগম জানান, “বিষয়টি খবর পেয়েছি। তদন্তের জন্য ব্লক প্রশাসনকে জানিয়েছি।” কাঁকসা বিডিও পর্না দে জানান, “বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”