রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে হাইকোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য। অভিযোগ, চিকিৎসা পাচ্ছেন না বিশেষভাবে সক্ষমরা। বঞ্চিত হছেন তাঁরা। সেই প্রেক্ষিতেই হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলাতেই এদিন আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজ্যের কাছে রিপোর্ট তলব আদালতের।
এদিন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি রাজ্যের উদ্দেশে বলেন, “হাসপাতালে ৮০ শতাংশ চুক্তিভিত্তিক। মাসে ১৩ হাজার টাকা করে দেন। তাদের থেকে কী আশা করেন! আপনারা বলছেন গ্লোবাল টেকনোলজির কথা। তারা তো সেই অস্থায়ী কর্মী! একটা কিছু করুন। সব পরিকাঠামো বন্ধ। ই-ফাইলিং ব্যবস্থাও নেই। তাহলে কি আপনারা কাজ করবেন না?” আদালতের সাফ কথা, “খুব অস্বস্তিকর। খুবই। পোর্টাল খুলছেই না। খুব খারাপ অবস্থা স্টেট অ্যাফেয়ার্সের।”
তোপ দাগেন, “মাত্র ২০০ জনের জন্য এই ই-ফাইলিং ব্যবস্থা ঠিক করে উঠতে পারছে না? এটা কি ধরণের স্টেট অ্যাফেয়ার্স? জিপি অফিসে কতজন অস্থায়ী কর্মী আছেন? তাদের মধ্যে কতজন হাইকোর্টে আছে? মানুষ দূর থেকে আসে। ১৫ হাজার টাকার জন্য মানুষ ২ ঘণ্টা ট্রেনে আসে। স্টেট লিগ্যাল সার্ভিস, ডিস্ট্রিক্ট লিগ্যাল সার্ভিস, সবমিলিয়ে কত জন অস্থায়ী? তারা কলকাতায় থাকবেন, সেই সামর্থ্য নেই। তাদের থেকে কত কী আশা করছেন! এটা পলিসি গত বিষয়।”