নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় বিপাকে তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্যা। হাইকোর্টের নির্দেশে এসএসসি-র গ্রুপ ডি পদে চাকরি খোয়ালেন তিনি। স্বামীও শাসকদলের নেতা। ঘটনাস্থল, বাঁকুড়া।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়া ওন্দার ব্লকের তৃণমূল নেতা। তাঁর স্ত্রী পূর্ণিমা একসময়ে স্থানীয় মেদিনীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য়া ছিলেন। এমনকী, গ্রুপ ডি পদে চাকরিও পেয়েছিলেন ভুলনপুর হাই স্কুলে। কীভাবে? প্রভাব খাটানোর অভিযোগ তুলেছে বিরোধীরা।
এদিকে গ্রুপ ডি পদে নিয়োগে যে বেনিয়ম হয়েছিল, সেকথা হাইকোর্টে স্বীকার নিয়েছে এসএসসি। শুধু তাই নয়, আদালতের নির্দেশে ১ হাজার ৯১১ জনের চাকরি প্রাপকের সুপারিশপত্রও প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়েছে। সেই তালিকায় ১৫৪০ নম্বরে নাম রয়েছেন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য় পূর্ণিমা নন্দী দে-র। ফলে চাকরি গিয়েছে তাঁর। পূর্ণিমার দাবি, ‘নিয়মমাফিক পরীক্ষা দিয়েই চাকরি পেয়েছি। প্রভাব খাটানো বা টাকা দেওয়ার কোনও প্রশ্নই নেই’।
স্রেফ গ্রুপ সি নয়, নবম ও দশম শ্রেণির শিক্ষক পদে আবার স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে ৯৫২ জনের সুপারিশপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এসএসসি। কেন? হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে সিবিআই জানিয়েছে, ওই ৯৫২ জনের OMR শিট গাজিবাদ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। সেই OMR শিট বিকৃতির অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছেন কমিশন। এবার মামলা গড়াল ডিভিশন বেঞ্চে।
এদিন শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী প্রশ্ন তোলেন, ‘এটা কে বলতে পারে যে, OMR শিটগুলি ইন্টারনেট থেকে নেওয়া হয়নি। আদালতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে, ওই , OMR শিটগুলি প্রমাণ হিসেবে ধরা হবে কিনা। প্রমাণ হিসেবে না ধরলে, কমিশন কীভাবে চাকরি বাতিল করবে’? বিচারপতি বলেন, ‘কমিশন কতদূর যেতে পারে, দেখা যাক। তারপরেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে’।