বহাল থাকল সিঙ্গল বেঞ্চের রায়। মান্যতা দেওয়া হল অবসরপ্রাপ্ত রঞ্জিত বাগ কমিটির রিপোর্টে। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) নিয়োগের দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত করবে বলে জানিয়ে দিল কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। সেইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়েছে, আপাতত কমিশনের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই।
কমিশনের মাধ্যমে স্কুলে গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী, নবম-দশম শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগ-সহ সাতটি মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে মামলা দায়ের হয়েছিল। পরবর্তীতে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছিল। সেইসঙ্গে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বাগের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হয়।
গত সপ্তাহেই গ্রুপ ‘সি’ ও গ্রুপ ‘ডি’ কর্মী নিয়োগ মামলায় ডিভিশন বেঞ্চের কাছে রিপোর্ট জমা দেয় বাগ কমিটি। হাইকোর্টে কমিটির তরফে জানানো হয়, গ্রুপ সি’তে ৩৮১ জন প্রার্থীকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে। অথচ ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি। বাকিরা উত্তীর্ণ হতে পারেননি। গ্রুপ ‘ডি’ পদে ভুয়ো নিয়োগের সংখ্যা ৬২৪ ছিল বলে জানায় হাইকোর্টে জানায় কমিটি। সেইসঙ্গে সৌমিত্র সরকার, কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, শান্তিপ্রসাদ সিনহাদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়েরের সুপারিশ করা হয়েছিল।
বুধবার সেই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখে হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি আনন্দগোপাল মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের মন্তব্য করে, উপযুক্ত তথ্যপ্রমাণ থাকলেই সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে। আর্থিক দুর্নীতির ক্ষেত্রে সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে কোনও ভুল নেই। সিঙ্গল বেঞ্চ কোনও সীমা অতিক্রম করা হয়নি। এখনও পর্যন্ত কমিশনের স্বপক্ষে কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। সেইসঙ্গে ডিভিশন বেঞ্চে পর্যবেক্ষণ, অবৈধভাবে যাঁদের নিয়োগ করা হয়েছে, তাঁদের বেতন বন্ধ করতে বা ফেরত দিতে বলে কোনও ভুল করেননি হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ।