আজ ববিতা সরকারের হাতে স্কুলে নিয়োগের সুপারিশপত্র তুলে দিল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশের পর সোমবার তাঁকে সল্টলেকে আসতে বলা হয়েছিল। সেইমতো স্বামী সঞ্জয় কর্মকারের সঙ্গে এসে নিয়োগের সুপারিশপত্র নেন ববিতা।
হাইকোর্টের নির্দেশ মতো ববিতাকে কোচবিহারের মেখলিগঞ্জের ইন্দিরা উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ করা হবে। যে স্কুলের চাকরি থেকে বরখাস্ত হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতাকে। তারইমধ্যে নিয়োগের সুপারিশপত্র হাতে পেয়ে মামলাকারী ববিতা বলেন,’আজ আমায় সুপারিশপত্র দেওয়ার জন্য ডাকা হয়েছিল। সেটা আমায় দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আমায় নিয়োগপত্র দেওয়া হবে। সেটা আমায় জানানো হবে। নিয়োগপত্র পাওয়ার পরদিনই আমি যোগ দিতে পারব।’
কলকাতা হাইকোর্টের রায়
শুক্রবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যয় প্রশ্ন করেছিলেন, ববিতাকে কি নিয়োগ করা হয়েছে? তাঁকে কেন এখনও চাকরি দেওয়া হয়নি? বিচারপতির প্রশ্নের জবাবে কমিশনের আইনজীবী জানিয়েছিলেন, বেআইনিভাবে যে প্রার্থীদের নিয়োগ করা হয়েছিল, হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে তাঁদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পরেই নিয়োগ শুরু হবে। তখন ববিতাকেও চাকরি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছিলেন কমিশনের আইনজীবী।
সেই উত্তরের প্রেক্ষিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘লজ্জাজনকভাবে’ মন্ত্রীর কন্যা অঙ্কিতাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিলেন। অঙ্কিতার নাম বেআইনিভাবে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করায় ববিতার নাম ২১ নম্বরে নেমে গিয়েছিল। সেজন্য অঙ্কিতার শূন্যপদে ববিতাকে নিয়োগের নির্দেশ দেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল, সোমবারের (২৭ জুন) মধ্যে ববিতাকে চাকরির সুপারিশপত্র দিতে হবে। মঙ্গলবারের মধ্যে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের কাছে সুপারিশপত্র পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। তারপর ৩০ জুনের মধ্যে ববিতাকে নিয়োগপত্র দিতে হবে।