বুধবার সকালে ৬টি গাড়ি নিয়ে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) হানা দেয় শান্তিনিকেতনের প্রান্তিকে অধুনা বিখ্যাত ‘অপা’ বাড়িটিতে। প্রায় সারাদিন সেই বাড়িতেই ছিলেন ইডির গোয়েন্দারা। কখনও বাগান খোঁড়া, আবার কখনও বাড়ির ভিতর তল্লাশি— সাড়ে সাত ঘণ্টা ধরে চলে ইডির অভিযান। অপা থেকে একাধিক নথি বাজেয়াপ্ত হয়েছে বলে ইডির দাবি। এরই পাশাপাশি সোনাঝুরি এলাকায় আরও দুটি বাড়িও রয়েছে ইডির নজরে।
ইডি জানতে পেরেছে, প্রান্তিকের অপা বাড়িটি পার্থ-অর্পিতার যৌথ ভাবে কেনা। তবে পরে একা অর্পিতার নামেই রেজিস্ট্রেশন হয় বাড়িটির। বুধবার সেই বাড়িতেই কার্যত চিরুনি তল্লাশি চলল। একই সঙ্গে ইডির নজর সোনাঝুরি এলাকার দুটি বাড়িতেও। লাবণ্য এবং তিতলি— এই দু’টি বাড়িতেও পার্থ, অর্পিতাদের যাতায়াত ছিল বলে জানতে পেরেছেন গোয়েন্দারা। তা হলে কি এই বাড়ি দু’টিও বেনামে কেনা হয়েছিল? বুধবার ইডির তদন্তকারীরা অপা বাড়ির কেয়ারটেকারকে নিয়ে চলে আসেন সোনাঝুরিতে। যেখানে লাবণ্য ও তিতলি নামে বাড়ি দু’টি রয়েছে। বাড়ি দু’টির ভিতরে না ঢুকলেও আশেপাশের লোকজন, তিতলি বাড়ির কেয়ারটেকারের সঙ্গে কথা বলে ইডি।
সূত্রের খবর, তিতলির কেয়ারটেকার জানিয়েছেন, পার্থ, অর্পিতাদের এই বাড়িতে তিনি দেখেছেন। তবে তাঁরা এই বাড়িতে এসে উঠতেন না। সাধারণত, পার্থের নিরাপত্তারক্ষীরা ওই বাড়িতে থাকতেন। কেয়ারটেকারকে বেতন দিতেন অর্পিতা। ইডির একটি দল যখন সোনাঝুরিতে স্থানীয় লোকের সঙ্গে কথা বলছেন, তখন অপায় তল্লাশিতে ব্যস্ত অন্য একটি দল। দেখা যায়, একটি প্রিন্টার নিয়ে ওই বাড়িতে ঢোকেন গোয়েন্দারা। সূত্রের খবর, ওই বাড়িতে রাখা নথি ঘেঁটে অর্পিতার একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিস পেয়েছেন ইডির তদন্তকারী আধিকারিকরা। বোলপুরে কোনও না কোনও ব্যাঙ্কের শাখায় রয়েছে অর্পিতার অ্যাকাউন্ট।