কিছুটা হলেও স্বস্তি। গ্রুপ সি নিয়োগ নিয়ে সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের উপর আপাতত ২৩শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ (Interim Stay order) দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তের ডিভিশন বেঞ্চ। সব মিলিয়ে আপাতত ৩৫০জনের চাকরি এখনই যাচ্ছে না। তবে কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ গ্রুপ সি নিয়োগ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল। ৩৫০জনের নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এমনকী ৩৫০জনের বেতন বন্ধেরও নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। ভুয়ো নিয়োগের জন্য যে খরচ হয়েছিল তা পুনরুদ্ধারের নির্দেশও দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। তবে সিঙ্গল বেঞ্চের সেই রায়ের উপর আপাতত অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দিল ডিভিশন বেঞ্চ। সেক্ষেত্রে ২৩শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কিছুটা স্বস্তিতে থাকতে পারবেন তাঁরা।
সেক্ষেত্রে ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে গ্রুপ ডিতে ৫৭৩জন ও গ্রুপ সিতে ৩৫০জনের চাকরি আপাতত বহাল থাকছে। তবে গ্রুপ ডি নিয়োগের মামলার মতোই গ্রুপ সি নিয়োগ মামলাতেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল সিঙ্গল বেঞ্চ। বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছিলেন, জেলা স্কুল পরিদর্শককে দেখতে হবে তাঁরা যেন বেতন না পান। পাশাপাশি ৩৫০জন এতদিন যে বেতন পেয়েছেন সেটা ফেরৎ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিকে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ডিভিশন বেঞ্চ গিয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে ডিভিশন বেঞ্চের স্থগিতাদেশের জেরে আপাতত সাময়িক রেহাই পেলেন তাঁরা। তবে টেনশন পুরোপুরি কাটেনি এখনও। ট্রেন্ডিং স্টোরিজ
সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরের এক ব্য়ক্তি চাকরিতে যোগ দেওয়ার পরে মামলা হয়েছিল আদালতে। প্যানেলের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেও ৩৫০জনকে নিয়োগ করা হয়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। তাঁদের নিয়োগ সংক্রান্ত নথিও জমা পড়েছিল আদালতে। মামলার নোটিশ পাঠানো হয়েছিল ৩৫০জনকেই। কিন্তু কেউ হাজির হননি আদালতে। এরপরই অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি।