স্কুল সার্ভিসের গ্রুপ ডি-র ১৯১১ কর্মীর চাকরি চলে গিয়েছে আদালতের রায়ে। নির্দেশ ছিল ওইসব শূন্যপদ পূরণ করা হবে ওয়েটিং লিস্টে থাকা প্রাথীদের মধ্যে থেকে। তবে তাদের ওএমআর শিটও পরীক্ষা করে দেখা হবে। আর তা করতে গিয়েই বিপাকে স্কুল সার্ভিস কমিশন। জালিয়াতির ভূত সেখানেও।
ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১০০ জনকে ইন্টারভিউয়ের জন্য ডাকার কথা ভাবা হয়েছিল। ইস্টার্ন রিজিয়নে ওয়েটিং লিস্টে থাকা ১০০ জনকে নিয়ে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছিল। এর পরবর্তী ধাপ হিসেবে ওইসব চাকরিপ্রার্থীদের ওএমআর শিট পরীক্ষা করে দেখার কাজ শুরু হয়। সেখানেই চমকের পালা। কমিশন নজরে পড়ে ১০০ জনের মধ্যে ষাট জনের ওএমআর শিটে কারচুপি রয়েছে। অর্থাত্ ওএমআর-এ এক নম্বর আর কমিশনের ওয়েবসাইটে অন্য নম্বর। নম্বর বাড়িয়ে নাম তুলে দেওয়া হয়েছে কমিশনের ওয়েবসাইটে। এখন ওয়েটিং লিস্টে থাকা মাত্র ৪০ জনের কাউন্সেলিং করবে কমিশন। আগামী ২ মার্চ ওই কাউন্সেলিং হবে।
এনিয়ে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, আমরা প্রথম দিকে বলছিলাম তখন কেউ কেউ তা মানতে চাইছিলেন না। গোটা তালিকাটা হয়েছে টাকার বিনিময়ে। এর সঙ্গে চাকরিপার্থীদের যোগ্যতার কোনও যোগ নেই। যত লোক নিয়োগ করা হয়েছে তার আশি ভাগ দুর্নীতি হয়েছে।
অন্যদিকে ওএমআর শিটে জালিয়াতি নিয়ে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, অর্ধেকের বেশি যদি কারচুপি হয় তাহলে লিস্টের গুরুত্ব কোথায়। ২০১১ সাল থেকে এই সরকার যে নিয়োগ করেছে তার মধ্যে কোনও স্বচ্ছতা নেই। এই সরকার চলে গেলে যদি নতুন সরকার আসে তাহলে এই সরকারের আমলে যত নিয়োগ হয়েছে তা খতিয়ে দেখতে হবে। এমন কোনও ডিপার্টমেন্টে নেই যেখানে নিয়োগ দুর্নীতি হয়নি। দালালদের বাডি় থেকে ওএমআর শিট, অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া যাচ্ছে। এই তদন্তের শেষ কোথায়।