টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে (ICC T-20 World Cup) হার দিয়ে অভিযান শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা (Sri Lanka )। হারের পর শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা বিশ্বকাপের ক্রীড়াসূচি ও অব্যবস্থাকে দুষেছেন। প্রোটিয়াদের কাছে শ্রীলঙ্কার হারের পিছনে অবশ্য নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের বাইশ গজকেও কাঠগড়ায় তুলছেন অনেকে।
শ্রীলঙ্কা অবশ্য মাঠের বাইরের কারণকে বড় করে দেখাচ্ছে। দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচের আগে ভুগতে হয়েছে শ্রীলঙ্কাকে। মায়ামি বিমানবন্দরে ফ্লাইট বিপর্যয়ের জন্য সাত ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছিল দ্বীপরাষ্ট্রের দলটিকে।
এদিকে ৮ জুন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচ শ্রীলঙ্কার। সেই ম্যাচ খেলার জন্য দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পরে অত্যন্ত দ্রুততার সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক সারে শ্রীলঙ্কা। নিউ ইয়র্কের পরে শ্রীলঙ্কার পরবর্তী ম্যাচ ডালাসে। সেই ম্যাচের জন্য বিমান ধরার তাড়া ছিল শ্রীলঙ্কার।
এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে মাত্র দুটি দল চারটি ম্যাচ খেলবে চারটি ভেন্যুতে। সেই দুই দলের একটি শ্রীলঙ্কা, অন্যটি নেদারল্যান্ডস। এখানেই সব শেষ নয়। আরও আছে। নিউইয়র্কে যে হোটেলে শ্রীলঙ্কা উঠেছিল, সেই হোটেলের থেকে মাঠের দূরত্ব প্রায় দেড় ঘণ্টা। বাকি দলগুলোর ক্ষেত্রে কিন্তু এতটা দূরত্ব অতিক্রম করতে হচ্ছে না।
টিকশানা বলেছেন, ”প্রতিটি ম্যাচের পরই আমাদের দৌড়তে হবে। চারটি ভিন্ন ভিন্ন ভেন্যুতে খেলা পড়েছে আমাদের। এটা ঠিক নয়। ফ্লোরিডার মায়ামি থেকে ফ্লাইট ধরতে বিমানবন্দরে আট ঘণ্টার কাছাকাছি আমাদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। রাত ৮টার ফ্লাইট পেয়েছিলাম ভোর ৫টেয়। তবে খেলায় অবশ্য এর প্রভাব পড়েনি।”
মাঠ থেকে হোটেলের দূরত্ব প্রসঙ্গেও টিকশানা বলেছেন, ”হোটেল থেকে অনুশীলনের ভেন্যু ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিটের পথ। মাঠ থেকে মাত্র ১৪ মিনিটের দূরত্বেও হোটেল পেয়েছে। সেই দুটি দলের কথা নাইবা বললাম।”