বিমানযাত্রায় বিভ্রাট! ত্রুটিপূর্ণ দরজার লক। আর সেই কারণে বিমানের শৌচালয়ে আটকে পড়লেন এক যাত্রী। প্রায় ১ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আটকে রইলেন বিমানের শৌচাগারের ভিতর। ঘটনাটি ঘটেছে স্পাইসজেটের মুম্বাই-বেঙ্গালুরু উড়ানে। আটকে পড়া ওই যাত্রী যাতে কোনওভাবে মনের জোর হারিয়ে না ফেলেন, তাঁকে ভরসা যোগাতে বাইরে থেকে দরজার তলা দিয়ে দেওয়া হল চিরকুটও! তাজ্জব করা এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছে সংশ্লিষ্ট এয়ারলাইন কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটে। মুম্বই থেকে বেঙ্গালুরু যাচ্ছিল স্পাইসজেটের উড়ানটি। সিট বেল্ট পরে থাকার সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পর বিমানের শৌচাগারে গিয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। আর তারপরই বিপদে পড়ে যান। টয়লেট থেকে বেরতে গিয়ে দেখেন বন্ধ দরজা কিছুতেই খুলছে না। দরজার লকে সমস্যার কারণেই এই অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। বিমানে উপস্থিত ক্রু মেম্বাররাও চেষ্টা করেন দরজা খুলতে। কিন্তু ব্যর্থ হন। তাঁরা বুঝতে পারেন বিমান বেঙ্গালুরুতে অবতরণ না করা পর্যন্ত দরজা খোলা যাবে না! মানে এই পুরো সময়টা ওই ব্যক্তিকে টয়লেটের ভিতরই আটকে থাকতে হবে।
এদিকে বিপাকে পড়ে ওই যাত্রী যাতে আতঙ্কিত না হয়ে পড়েন, তাই বাইরে থেকে একটি চিরকুট ঢুকিয়ে দেওয়া হয় শৌচালয়ের ভিতর। ওই নোটে লেখা ছিল, “স্যার, আমরা দরজা খোলার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি। কিন্তু আমরা দরজা খুলতে পারিনি। তবে আতঙ্কিত হবেন না। আমরা আর কয়েক মিনিটের মধ্যেই অবতরণ করছি। তাই অনুগ্রহ করে কমোডের ঢাকনা ব্যবহার করুন। তার উপরই বসুন। নিজেকে নিরাপদবোধ করুন। যত তাড়াতাড়ি প্রধান দরজা খুলবে, ইঞ্জিনিয়ার আসবেন। ঘাবড়াবেন না।” বেঙ্গালুরুতে নামা পর্যন্ত বিমানের টয়লেটের মধ্য়েই আটকে থাকেন ওই যাত্রী। বেঙ্গালুরুতে নামার পরই চলে আসেন ইঞ্জিনিয়ার। খোলা হয় শৌচাগারের দরজা। উদ্ধার করা হয় ওই যাত্রীকে।
দীর্ঘক্ষণ শৌচালয়ে আটকে থাকার জন্য তাঁর প্রাথমিক চিকিৎসাও করা হয় এয়ারলাইনের তরফে। স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষ এই ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে একটি বিবৃতিও জারি করেছে। পাশাপাশি, এটাও বলে যে, আটকে পড়া ওই যাত্রী ফ্লাইটের পুরো সময় জুড়ে সহায়তা পেয়েছে। প্রসঙ্গত, দিন দুয়েক আগেই বিমান ছাড়তে দেরি হওয়ায় ইন্ডিগোর এক বিমানচালককে ঘুঁষি মারেন এক যাত্রী। যে ঘটনা কোনওভাবেই বরদাস্ত করা যায় না বলে কড়া বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় অসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া।