একইদিনে তিনটি বিমানে যান্ত্রিক গোলযোগের ঘটনাকে ‘ছোট্ট’ বলল স্পাইসজেট। বুধবার উড়ান সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টর অজয় সিং দাবি করেন, বিমান পরিবহণের ক্ষেত্রে ‘দৈনন্দিন ভিত্তিতে’ এরকম হয়। তাতে সার্বিকভাবে উড়ান সংস্থার নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কোনও প্রভাব ফেলে না।
স্পাইসজেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই বলেছে, ‘১৫ বছর ধরে সুরক্ষিতভাবে উড়ান সংস্থা চালাচ্ছে স্পাইসজেট। যে ধরণের ঘটনা নিয়ে কথা হচ্ছে, তা ছোট্ট ঘটনা এবং (সব) উড়ান সংস্থার ক্ষেত্রেই দৈনন্দিন ভিত্তিতে সেটা হয়।’ সেইসঙ্গে স্পাইসজেটের ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দাবি, দিনে এরকম কমপক্ষে ৩০ টি ঘটনা ঘটে থাকে। ‘কিন্তু স্পাইসজেটের একটি বা দুটি ঘটনা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই হচ্ছে। এটা ঠিক নয়। (সেটার মানেও এই নয় যে) কোনও উড়ান সংস্থা অসুরক্ষিত।’
উল্লেখ্য, গত ১৮ দিনে কমপক্ষে ন’বার যান্ত্রিক সমস্যার মুখে পড়েছে স্পাইসজেটের বিমান। শুধু মঙ্গলবারই স্পাইসজেটের তিনটি বিমানে (দিল্লি-দুবাই, কান্ডলা-মুম্বই এবং কলকাতা-চিনের কার্গো বিমান) যান্ত্রিক গোলযোগ হয়। প্রথম দুটি বাণিজ্যিক উড়ানের যাত্রীদের সুরক্ষিতভাবে বের করে আনা হয়েছে। পণ্যবাহী বিমানটি কলকাতায় ফিরে এসেছে। সেই পরিস্থিতিতে বুধবার ডিরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের (ডিজিসিএ) তরফে শো-কজ নোটিশ জারি করা হয়।
কী বলা হয়েছিল শো-কজ নোটিশে?
ডিজিসিএয়ের চিঠিতে বলা হয়, ‘১ এপ্রিল থেকে আজ পর্যন্ত একাধিক এমন ঘটনা ঘটেছে, যখন স্পাইসজেটের বিমান গন্তব্যের যাওয়ার বদলে ফিরে গিয়েছে বা নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করে অবতরণ করেছে। দেখা যাচ্ছে যে অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয়টি স্পাইসজেট ভালোভাবে দেখছে না বা রক্ষণাবেক্ষণে খামতি থেকে যাচ্ছে। এদিকে অর্থনৈতিক মূল্যায়ণে দেখা গিয়েছে যে স্পাইসজেট নিজের ভেন্ডরদের বকেয়া টাকা সময়মতো মেটাচ্ছে না। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে স্পাইসজেট কর্তৃপক্ষকে এই শোকজ নোটিশের জবাব দিতে হবে। তিন সপ্তাহে আশানুরূপ জবাব না পেলে ডিজিসিএ পদক্ষেপ করবে।’