ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর খালি আসনে কে বসবেন তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছিল। অবশেষে হানিয়ের উত্তরসূরি বেছে নিল স্বাধীনতাপন্থী প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠী হামাস। তাদের পরবর্তী প্রধান করা হল ইয়াহিয়া সিনওয়ারকে। সংবাদ সংস্থা রয়টর্সে প্রকাশিত হামাসের বিবৃতিতে সেই কথাই উল্লেখ রয়েছে।
রয়টর্সের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, ৬১ বছরের নেতা ইয়াহিয়ার জন্ম গাজ়ার খান ইউনিয়ের একটি শরণার্থী শিবিরে। ২০১৭ সালে গাজ়াতেই তাঁকে হামাসের এক জন নেতা হিসাবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। তবে তাঁর অনেক বছর কেটেছে কারাগারের অন্ধকার কুঠুরিতে। ইজ়রায়েসের সঙ্গে হামাসের যু্দ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকেই গাজ়ায় আত্মগোপন করে ছিলেন ইয়াহিয়া।
তবে হামাসে যোগ দেওয়ার আগে ইয়াহিয়া ছিলেন ইজ়রায়েলি গুপ্তচর সংস্থা মোসাদ প্রধানের পদ সামলেছিলেন। তার পর তাঁর জেল হয়। সেই ইয়াহিয়াকেই পরবর্তী প্রধান হিসাবে বেছে নিল হামাস। হানিয়ার পর হামাসের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে শক্তিশালী নেতা।
উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই তেহরানে গেস্টহাউসে ঢুকে খুন করা হয় হানিয়াকে। শুধু তিনি একা নন, তাঁর দেহরক্ষীকেও খুন করা হয়। হানিয়ার খুনের নেপথ্যে ইজ়রায়েল সেনার হাত রয়েছে বলে মনে করে হামাস। ইরান সেনার এলিট ‘রেভলিউশনারি গার্ড’ বাহিনীর কয়েক জন আধিকারিকের সূত্র উদ্ধৃত করে নিউ ইউর্ক টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজ়েশকিয়ানের শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়ে গেস্ট হাউসের যে অংশে হানিয়া ছিলেন, সেখানেই বসানো হয়েছিল একটি বোমা। গভীর রাতে রিমোট কন্ট্রোলের সাহায্যে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। ‘রেভলিউশনারি গার্ড’ বাহিনীর দু’জন আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০২০ সালে মোসাদ ইরানি পরমাণু বিজ্ঞানী মোহসেন ফাকরিহজাদেহকে নিখুঁত ভাবে রিমোট কন্ট্রোল মেশিনগানের সাহায্যে হত্যা করেছিল।