দক্ষিণ আফ্রিকার শেষ পাঁচ ব্যাটারের ২৬৪ রান, দোসর পন্থের দুর্বল নেতৃত্ব, গুয়াহাটিতে ‘ব্যাকফুট’-এ ভারত

সেনুরান মুথুস্বামীর ১০৯ এবং মার্কো জানসেনের ৯৩ রানের ইনিংস চাপে ফেলে দিল ভারতকে। গুয়াহাটি টেস্ট জিতে সিরিজ় ড্র রাখাও কঠিন হতে পারে ঋষভ পন্থদের পক্ষে। রবিবার দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের আউট করতে বেশ বেগ পেতে হল জসপ্রীত বুমরাহ, কুলদীপ যাদবদের। ৪৮৯ রানে শেষ হল প্রোটিয়াদের ইনিংস। দিনের শেষে ভারতের প্রথম ইনিংসে ৯/০।

শনিবার ৬ উইকেটে ২৪৭ রান তুলে ছিলেন টেম্বা বাভুমারা। রবিবার বাকি ৪ উইকেট নিয়ে তাঁরা তুললেন ২৪২ রান। শেষ তিন উইকেটে উঠল ১৫৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটারদের তো বটেই টেলএন্ডারদের আউট করতেও গুয়াহাটিতে গলদঘর্ম দশা হল বুমরাহদের। সাত নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ১০৯ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেললেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত অলরাউন্ডার মুথুস্বামী। অষ্টম টেস্টে প্রথম শতরান করলেন ৩১ বছরের ক্রিকেটার। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়েও মনে রাখার মতো পারফর্ম করেছিলেন মুথুস্বামী। ভারতের মাটিতেও নিজের দক্ষতার পরিচয় দিলেন বুমরাহদের বিরুদ্ধে। প্রথমে কাইল ভেরেন (৪৫) এবং পরে জানসেনের সঙ্গে দলের রানকে পৌঁছে দিলেন নিরাপদ জায়গায়। পরিস্থিতি অনুযায়ী কখনও ধরে খেললেন, কখনও মারলেনও। ২০৬ বলের ইনিংসে মারলেন ১০টি চার এবং ২টি ছক্কা। ভেরেনের ইনিংসেও রয়েছে ৫টি চার।

ভেরেন আউট হওয়ার পর মুথুস্বামীর সঙ্গে দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের হাল ধরেন জানসেন। প্রথম টেস্ট শতরান হাতছাড়া করলেন। কুলদীপের বলে আউট হলেন ৯৩ রান করে। তিনি আউট হতে শেষ হয় প্রোটিয়াদের প্রথম ইনিংস। ৯১ বলের আগ্রাসী ইনিংসটি জানসন সাজিয়েছেন ৬টি চার এবং ৭টি ছক্কা দিয়ে। শেষে অপরাজিত থাকেন কেশব মহারাজ (১২)। দক্ষিণ আফ্রিকার টেল এন্ডারদের মধ্যে রান পেলেন না শুধু সাইমন হারমার (৫)। বাভুমার দলের শেষ পাঁচ ব্যাটারের মিলিত রান ২৬৪। তাঁরাই গুয়াহাটিতে ‘ব্যাকফুট’-এ ঠেলে দিল ভারতকে।

প্রথম দিন তৃতীয় সেশনে ৪ উইকেট তুলে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়ে ছিলেন বুমরাহেরা। সেই সুবিধা দ্বিতীয় দিনের প্রথম ২ ঘণ্টাতেই হাতছাড়া করে ভারত। রবিবার সকালের ২ ঘণ্টায় একটি উইকেটও নিতে পারলেন না ভারতীয়েরা। পন্থের রক্ষণাত্মক ফিল্ডিং সাজানো যার অন্যতম কারণ। দূরে দূরে ফিল্ডার রেখে প্রোটিয়া ব্যাটারদের সহজে রান করার সুযোগ করে দিলেন গুয়াহাটি টেস্টের অধিনায়ক। সে ভাবে আক্রমণই করলেন না মুথুস্বামীদের। ভারতের বোলারদের অনায়াসে খেললেন তাঁরা। নীতীশ কুমার রেড্ডিকে বোলার হিসাবেও এ দিন ব্যবহার করলেন না পন্থ। তাঁর অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছেন অনিল কুম্বলের মতো প্রাক্তন ক্রিকেটারও। কুলদীপ ৪ উইকেট অবশ্য নিলেন। তবে খরচ করলেন ১১৫ রান। বুমরাহের ২ উইকেট ৭৫ রানে। রবীন্দ্র জাডেজাও ২ উইকেট নিলেন ৯৪ রানে। মহম্মদ সিরাজের ২ উইকেট ১০৬ রানে।

জবাবে ব্যাট করতে নেমে সাবধানী ভারতও। যশস্বী জয়সওয়াল-লোকেশ রাহুলের মূল লক্ষ্যই ছিল উইকেট না হারানো। আশার কথা গুয়াহাটির ২২ গজ দ্বিতীয় দিনের শেষেও ব্যাটিং করার জন্য বেশ ভাল রয়েছে। সিরিজ় হার বাঁচাতে হবে গৌতম গম্ভীরের দলকে প্রথম ইনিংসে অন্তত ৬০০ রান তুলতে হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.