প্রতিযোগিতার শুরু থেকে কলম্বোয় যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে, তার বদল হল না শুক্রবারেও। বৃষ্টির জেরে আর একটু হলেই শ্রীলঙ্কা বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা ম্যাচ ভেস্তে যাচ্ছিল। তা পরিত্যক্ত না হলেও, ৫০ ওভারের ম্যাচ কমে দাঁড়াল টি-টোয়েন্টিতে। সেখানে শ্রীলঙ্কাকে একপেশে লড়াইয়ে হারিয়ে সেমিফাইনালের দিকে আরও এগিয়ে গেল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১০ উইকেটে জিতল তারা। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১০৫/৭ তুলেছিল শ্রীলঙ্কা। ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য ছিল ১২১। কোনও উইকেট না হারিয়েই জয়ের রান তুলে নেয় তারা। ৫ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল দক্ষিণ আফ্রিকা।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই চাপে পড়ে শ্রীলঙ্কা। ৩৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ১২ ওভারে শ্রীলঙ্কার স্কোর যখন ৪৬/২, তখনই বৃষ্টি নামে। মাঠের একাধিক জায়গায় জল জমে যায়। মাঝেমাঝে বৃষ্টি থামলেও পর ক্ষণেই তা শুরু হচ্ছিল। ফলে মাঠকর্মীদের কাজ কঠিন হয়ে যাচ্ছিল। শেষ পর্যন্ত বৃষ্টি পুরোপুরি থামার পর যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করে ম্যাচ ফের শুরু করার জায়গায় নিয়ে যান তাঁরা।
ম্যাচ আবার শুরুর পর শ্রীলঙ্কাকে আগ্রাসী হয়ে উঠতেই হল। সেটাই করে তারা। প্রথম বল থেকে চালিয়ে খেলতে থাকে। প্রথম বলেই নোনকুলুলেকা এমলাবাকে ছয় মারেন কাবিশা দিলহারি। শ্রীলঙ্কা আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠার আগেই পর পর দু’বলে দু’উইকেট নিয়ে তাদের মনোবল ভেঙে দেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।
রান নিয়ে গিয়ে আহত হয়ে সাজঘরে ফিরে গিয়েছিলেন বিশমি গুণরত্নে। চতুর্থ উইকেট পড়ার পর তিনি মাঠে ফেরেন। শ্রীলঙ্কার হয়ে শেষ দিকে একাই খেলেন তিনি। পর পর কয়েকটি বাউন্ডারি মেরে স্কোরবোর্ড সচল রাখেন। তবু ১০৫-এর বেশি তুলতে পারেনি শ্রীলঙ্কা।
ডাকওয়ার্থ-লুইস নিয়মের কারণে ২০ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য দাঁড়ায় ১২১। তারা শুরু থেকেই চালিয়ে খেলতে থাকে। লরা উলভার্ট এবং তাজ়মিন ব্রিটসের ওপেনিং জুটিই ম্যাচ ছিনিয়ে নেয় শ্রীলঙ্কার হাত থেকে। বিপক্ষের কোনও বোলারকেই দাঁড়াতে দেননি এই দুই প্রোটিয়া ব্যাটার। ৮টি চারের সাহায্যে ৪৭ বলে ৬০ রানে অপরাজিত থাকেন উলভার্ট। ৪টি চার এবং ২টি ছয়ের সাহায্যে ৪২ বলে ৫৫ করে অপরাজিত থাকেন ব্রিটস।