গুরুগ্রামে অনুষ্ঠান শেষে চারদিক থেকে মানুষ ঘিরে ধরেছিল সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে। দেরি হয়ে যাচ্ছিল। কলকাতা ফেরার বিমান ধরতে হত দিল্লি থেকে। সেই ছবি তোলার অনুরোধ মিটিয়ে গাড়িতে উঠেই ছুটেছিলেন দিল্লি বিমানবন্দরের দিকে। অনুষ্ঠানের সঞ্চালক তখনও কাজ শেষ করে বার হতে পারেননি। একই বিমানে ফেরার কথা ছিল তাঁরও। বিমান ধরাই মুশকিল হবে বুঝতে পারছিলেন সঞ্চালক। এমন সময় ত্রাতা হলেন সৌরভই।
সঞ্চালক প্রিয়ম ঘোষ আনন্দবাজার অনলাইনকে জানালেন সৌরভ না থাকলে তাঁর কলকাতা ফেরাই মুশকিল হত। আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “আমার গাড়ি বেশ কিছুটা পিছনে ছিল। বিমানবন্দরে ঢোকার আগে দাদা (সৌরভ) রাস্তার ধারে গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। আমি পৌঁছলে তারপর আমাকে সঙ্গে নিয়ে বিমানবন্দরে ঢুকেছিলেন। বিমানবন্দরের একটি দোকানে একসঙ্গে খেয়েছিলাম দু’জনে। ওই দোকানে কোন খাবারটা ভাল, সেটাও দাদাই বলে দিয়েছিলেন।”
সৌরভের এমন রূপ দেখে অবাক প্রিয়ম। ভাবতেই পারছেন না তাঁর জন্য সৌরভ গাড়ি দাঁড় করিয়ে রেখেছিলেন। প্রথম বার সৌরভের সাক্ষাৎকার নিয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন প্রিয়ম। কিন্তু এই ঘটনা জীবনে ভুলতে পারবেন না বলে জানালেন তিনি।
কিছু দিন আগে অলিম্পিকে সোনাজয়ী নীরজ চোপড়ার একটি শো-য়ের সঞ্চালনা করেছিলেন প্রিয়ম। এ বার সৌরভের সঙ্গে মঞ্চ ভাগ করে নিলেন তিনি।