আইপিএলের প্লে-অফ এবং এলিমিনেটর ম্যাচ দেখতে শহরে এসেছেন দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বর্যা। সঙ্গে এসেছে তাঁর দুই পুত্রও। সোমবার রাতে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বাড়িতে নৈশভোজে গিয়েছিলেন ঐশ্বর্যা।
প্রসঙ্গত, ঐশ্বর্যা নিজে চলচ্চিত্র পরিচালক। তিনি দক্ষিণী ছবিতে নেপথ্যগায়িকাও বটে। তবে তাঁর সঙ্গে সৌরভের যোগাযোগ ছবির সূত্রে নয়। একেবারেই ব্যক্তিগত। সম্প্রতি দক্ষিণী ছবির অভিনেতা ধনুশের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে ঐশ্বর্যার। ঘটনাচক্রে, ২০১৬ সালে ঐশ্বর্যার আত্মজীবনী প্রকাশিত হয়েছিল। নাম ‘স্ট্যান্ডি অন অ্যান অ্যাপল বক্স: দ্য স্টোরি অব আ গার্ল অ্যামং দ্য স্টার্স’। বইয়ে তিনি লিখেছিলেন, এক খ্যাতনামীর সন্তান হওয়ার অভিজ্ঞতা। লিখেছিলেন তাঁর বিবাহ এবং কেরিয়ার বেছে নেওয়ার কথাও।
প্রাক্তন স্বামী ধনুশের ‘ভাইরাল’ গান ‘হোয়াই দিস কোলাভেরি ডি’ তৈরির ভিডিয়ো তৈরির সময় ছিলেন ঐশ্বর্যা। বস্তুত, তাঁর পরিচালনায় ধনুশের একটি ছবিতে অভিনয় করারও কথা ছিল। ধনুশ ঘোষণা করেছিলেন, ‘‘এই একটি ছবিতেই আমি আমার স্ত্রীর পরিচালনায় কাজ করব।’’ ঐশ্বর্যা-ধনুশের দুই পুত্রের মধ্যে বড় লিঙ্গা বাস্কেটবল নিয়ে বেশি উৎসাহী। ছোট ছেলে যাত্রার উৎসাহ আবার ক্রিকেটে। দু’জনেই সোমবার সৌরভের বাড়িতে গিয়েছিল।
সৌরভের ঘনিষ্ঠদের একাংশের ধারণা, রজনীকান্ত-কন্যা সৌরভের জীবনীচিত্র করতে আগ্রহী। যদিও এর কোনও আনুষ্ঠানিক সমর্থন মেলেনি। বস্তুত, সৌরভের জীবনীচিত্রের কাজ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে বলেই প্রযোজনা সংস্থা সূত্রের খবর।
ঘটনাচক্রে, রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বর্যাকে রাষ্ট্রসঙ্ঘ তাদের ‘গুডউইল অ্যাম্বাসেডর’ পদে নিযুক্ত করেছে। তবে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সদর দফতরে ভরতনাট্যম পরিবেশন করে ঐশ্বর্যাকে নামী, পরিচিত এবং পেশাদার ভরতনাট্যম শিল্পীদের ক্ষোভের মুখেও পড়তে হয়েছে। যেমন ভরতনাট্যম শিল্পী অনিতা রত্নম ঐশ্বর্যার ফেসবুক পেজে গিয়ে লিখেছিলেন, ‘এই দশা হয়েছে ভরতনাট্যমের! পুরো বিষয়টাই অক্ষম নকল আর প্রহলনে গিয়ে ঠেকেছে!’