করোনা আবহে প্রাণ খুলে অসহায়দের পাশে দাঁড়িয়েছেন অনেক তারকাই। পরিযায়ী শ্রমিক থেকে ভিনদেশে আটকে পড়া ভারতীয়, নানাজনকে নানাভাবে সাহায্য করেছেন তাঁরা। তবে সেই তালিকায় যে নামটি শীর্ষে থাকবে, তা নিঃসন্দেহে সোনু সুদ (Sonu Sood)। দেশজুড়ে লকডাউন শুরুর পর থেকেই শিরোনামে তিনি। দিনের পর দিন বিভিন্নভাবে মানুষের মুশকিল আসান করেছেন। সর্বহারাদের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। অভিনেতাকে একটা টুইট করেই পালটে গিয়েছে জীবন। এককথায় দেবতার দূত হিসেবেই এই সংকটকালে ধরা দিয়েছেন সোনু। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, শয়ে শয়ে মানুষকে সাহায্য করার জন্য এত অর্থ তিনি কোথা থেকে পাচ্ছেন?
গুগলে সার্চ করলেই বুঝতে পারবেন, বিষয়টি জানতে ঠিক কতটা আগ্রহী নেটিজেনরা। কখনও পড়ুয়াদের বাড়ি ফেরাতে চার্টার্ড ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছেন তো কখনও বাসের। কখনও অ্যাপ বানিয়ে কর্মসংস্থানের সন্ধান দিয়েছেন, আবার কখনও গরিব পরিবারের ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার বন্দোবস্ত করেছেন। লকডাউনে তাঁর অবদান বলে শেষ করাই কঠিন। রিল লাইফের খলনায়কের এমন মানবিক রূপ মন ছুঁয়েছে গোটা দেশের। তাই তো ভালবেসে কেউ নিজের সেলুনের নাম সোনুর নামে রেখেছেন তো কেউ নিজের সন্তানের নাম। কিন্তু বাস্তব ছবিটা হল, এত মানুষকে সাহায্যের জন্য মোটা অঙ্কের অর্থের প্রয়োজন। সেক্ষেত্রে সোনু কীভাবে পুরো বিষয়টা সামলালেন? কারণ কোনও স্পনসরের সঙ্গে সোনু এ কাজের জন্য হাত মিলিয়েছেন, তেমনটাও শোনা যায়নি। বরং বন্ধুদের সঙ্গে নিয়েই একটা দল হিসেবে কাজ করছেন তিনি। তাহলে?
জানা গিয়েছে, সমস্ত ব্যবস্থা নিজের সঞ্চিত অর্থ থেকেই নাকি করেছেন অভিনেতা। ছবির জগতে প্রায় ২১ বছর কাটিয়ে ফেলেছেন। বলিউডের পাশাপাশি প্রচুর দক্ষিণী ছবিতে কাজ করেছেন। ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম দামি অভিনেতা তিনি। রিপোর্ট বলছে, ১৩০ কোটি টাকার মালিক তিনি। ছবির পাশাপাশি একাধিক কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাস্যাডরও। ফলে উপরওয়ালার কৃপায় ইন্ডাস্ট্রিতে পা রাখার পর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। নিজের এই সঞ্চিত অর্থই নানা সমাজসেবামূলক কাজে লাগাচ্ছেন তিনি। এ ব্যাপারে পাশে পেয়েছেন পরিবার ও বন্ধুদেরও।
যদিও এ বিষয়ে নিজে থেকে কিছু জানাননি সোনু। তবে বড় মনের মানুষরা মনে এভাবে নিঃশব্দে মানবসেবা করতেই বেশি ভালবাসেন। তাই খরচের পরোনা না করেই নিজের মহৎ কাজ করে চলেছেন। বদলে পাচ্ছেন, বুক ভরা ভালবাসা ও অনেক আশীর্বাদ।