অক্টোবর মাস এখনও শেষ হয়নি। শরতের হিমেল আভাস এর মধ্যেই উঁকিঝুঁকি মারতে শুরু করেছে বাংলায়। শীত পড়তে এখনও ঢের দেরি। তবে শীতের বার্তা বয়ে এনে তাপমাত্রা কমেছে বেশ খানিকটা। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রা এমনই কম থাকবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। তার পরে আবার পারদ চড়বে।
সোমবার কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২২.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিক। দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকতে পারে ৩১ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তবে রাজ্যের নানা প্রান্তে সোমবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটা কম ছিল। কোথাও ১৮, কোথাও ১৯, কোথাও আবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছুঁয়ে ফেলেছিল ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াসের গণ্ডি। পাহাড়ের ক্ষেত্রে তাপমাত্রা ছিল আরও কম।
হাওয়া অফিসের পরিসংখ্যান বলছে, উত্তরের পাহাড়ি অঞ্চল বাদ দিলে সোমবার সবচেয়ে কম তাপমাত্রা দেখা গিয়েছে বর্ধমানে। সেখানে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের চেয়ে চার ডিগ্রি কম। এ ছাড়া বাঁকুড়া (১৮.৭), আসানসোল (১৯.৯), বিষ্ণুপুর (১৮.৭), মুর্শিদাবাদ (১৯.২), পুরুলিয়া (১৮.৫), শ্রীনিকেতনে (১৯.২) তাপমাত্রা ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে ছিল।
দার্জিলিঙে অবশ্য তাপমাত্রা সোমবার স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ডিগ্রি বেশি (১১.৪) ছিল। এ ছাড়া, শিলিগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৮.৫, জলপাইগুড়িতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৩, কালিম্পঙে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৪.৪, কোচবিহারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৭.৯, দিঘায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২০.৯, ডায়মন্ড হারবারে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২.৬, দমদমে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১.৮, কৃষ্ণনগরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২২, মেদিনীপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, আগামী দু’দিন তাপমাত্রা এমন থাকবে। নভেম্বরের শুরুর দিকে তাপমাত্রা আবার খানিকটা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে রাজ্যের কোথাও আপাতত বৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। সর্বত্র শুকনো আবহাওয়া থাকবে।