ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের (এসআইআর) এনুমারেশন ফর্ম জমা না-দিয়েই কোনও কোনও ভোটার বাইরে চলে গিয়েছেন। কর্মসূত্রে বা অন্য কোনও কারণে বাড়ি ছেড়েছেন। এর ফলে এখনও তাঁদের ফর্ম জমা পড়েনি। বুথ স্তরের আধিকারিকেরা (বিএলও) সেই ফর্মের তথ্য নির্বাচন কমিশনের পোর্টালে আপলোডও করতে পারেননি। তবে এই সংক্রান্ত সমস্যাগুলি দু’এক দিনের মধ্যেই মিটে যাবে, আশাবাদী রাজ্যের এসআইআর-এর বিশেষ পর্যবেক্ষক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক সুব্রত গুপ্ত। বুধবার পূর্ব বর্ধমানে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর গোটা প্রক্রিয়া নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক আয়েশা রানির উপস্থিতিতে তাঁর দফতরেই দু’দফায় বৈঠক করেছেন সুব্রত। প্রথম দফায় বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা ছিলেন। এসআইআর প্রসঙ্গে নিজেদের উদ্বেগ এবং মতামত প্রকাশ করেন তাঁরা। এর পর দ্বিতীয় দফায় প্রতি বিধানসভার ইলেক্টোরাল রেজিস্ট্রেশন অফিসারদের (ইআরও) সঙ্গে আলোচনা করেন সুব্রত। ভোটার তালিকার সংশোধনের কাজ কত দূর এগিয়েছে এবং কত এনুমারেশন ফর্ম সংগ্রহ করে ডিজিটাইজ়ড (পোর্টালে আপলোড) করা হয়েছে, ইআরও-দের কাছে জানতে চান বিশেষ পর্যবেক্ষক। তাঁর মতে, পদ্ধতিগত ভাবেই সর্বত্র কাজ চলছে। কোনও কোনও ইআরও সফ্টওয়্যার সংক্রান্ত সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। আগামী সাত-আট দিনের মধ্যে সমস্যার সমাধান করে নির্ভুল ভোটার তালিকা তৈরি করার বিষয়ে তিনি আশাবাদী।
কমিশনের কাছে বিশেষ পর্যবেক্ষকের সুপারিশ, সংগৃহীত এনুমারেশন ফর্ম আর ফেলে রাখা যাবে না। যে ফর্ম এখনও সংগ্রহ করা হয়নি, তা সিস্টেমে নথিভুক্ত করতে হবে হয় স্ক্যান করে, নয়তো ‘আনমার্কড’ (অচিহ্নিত) হিসাবে।
এসআইআর প্রক্রিয়া সাত দিন করে পিছিয়ে দিয়েছে কমিশন। ৪ ডিসেম্বরের পরিবর্তে এনুমারেশন ফর্ম কমিশনের পোর্টালে আপলোড করার শেষ দিন হয়েছে ১১ ডিসেম্বর। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ১৬ ডিসেম্বর। তার ভিত্তিতে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এই প্রক্রিয়ার উপর নজর রাখা এবং বিএলও, ইআরও-দের কাজ পর্যবেক্ষণ করার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সুব্রতকে। বুধবার তিনি পূর্ব বর্ধমানে এসআইআর-এর কাজ খতিয়ে দেখলেন। সন্ধ্যায় বর্ধমানের জনপ্রিয় সর্বমঙ্গলা মন্দিরে পুজোও দেন সুব্রত। এসআইআর প্রক্রিয়া যাতে শান্তিপূর্ণ ভাবে মিটে যায়, তার জন্য় প্রার্থনা করেন।

