অবশেষে সোমালিয়ার কাছে হাইজ্যাক-করা জাহাজের দখল নিল ভারতীয় নৌবাহিনীর কমান্ডো। বৃহস্পতিবার সন্ধের দিকে আফ্রিকার সোমালিয়া উপকূলের কাছ থেকে অপহৃত হয়েছিল ১৫ জন ভারতীয় ক্রু সদস্য-সহ ‘এমভি লীলা নরফোক’ জাহাজটি। জাহাজটিতে লাইবেরিয়ার পতাকা ছিল। সোমালিয়ার উপকূলের কাছে থেকে পণ্যবাহী এই জাহাজটিকে অপহরণ করা হয়েছিল বলে জানিয়েছিল ভারতীয় নৌসেনা। তবে নৌসেনা তখনই জানিয়েছিল, তারা এই অপহরণকাণ্ডের উপর কড়া নজর রাখছে। ঘটনাস্থলে ততক্ষণে পাঠানো হয়েছে নৌসেনার যুদ্ধজাহাজ ‘আইএনএস চেন্নাই’-কে। অবশেষে এই অপারেশনের সাফল্য মিলল আজ শুক্রবার।
এই জাহাজ অপহৃত হওয়ার খবরটি জানিয়েছিল একটি ব্রিটিশ মিলিটারি সংস্থা ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস নৌবাহিনী। তারা পৃথিবীর গুরুত্বপূর্ণ জলপথগুলির উপর নজর রাখে এবং কোনও ক্ষেত্রে বেচাল কিছু দেখলেই সংশ্লিষ্ট জায়গায় খবর পাঠায়।
ভারতীয় নৌবাহিনী জানিয়েছে, তাদের একটি সামুদ্রিক টহলদারি বিমান শুক্রবার সকাল থেকেই অপহৃত জাহাজটির উপরে নজর রাখতে শুরু করে। বিমানটি থেকে জাহাজে থাকা ব্যক্তিদের সঙ্গে যোগাযোগও করা হয়। অপহরণকারীদের সঙ্গে কথা বলে ভারতীয় ক্রু সদস্যদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। জাহাজটিকে সাহায্যের জন্যই ‘আইএনএস চেন্নাই’কে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। ভারতীয় নৌবাহিনী বলেছে, বন্ধুত্বপূর্ণ বিদেশি শক্তিগুলির সঙ্গে এ অঞ্চলে বাণিজ্যিক জাহাজগুলির বাণিজ্য-নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তারা।
লোহিত সাগর, এডেন উপসাগর এবং মধ্য ও উত্তর আরব সাগর বরাবর যে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক চ্যানেল রয়েছে, সাম্প্রতিক কালে সেখানে হামলা আগের চেয়ে ঢের বেড়েছে। দেখা যাচ্ছে, এই এলাকায় একের পর এক বাণিজ্যিক জাহাজ হামলার মুখে পড়ছে। গত মাসে, আরব সাগরের কাছে এক ট্যাঙ্কার জাহাজে ড্রোন হামলা হয়েছিল। ভারতের উদ্দেশে রওনা হওয়া আর একটি বাণিজ্যিক তেল ট্যাঙ্কারের উপরও একই দিনে দক্ষিণ লোহিত সাগরে ড্রোন হামলা হয়েছিল। সব মিলিয়ে সমুদ্রবাণিজ্যে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ সাম্প্রতিক কালে বেড়েছে ভারতের।